ঝিনাইদহ : ‘বয়স এখন সত্তরের কাছাকাছি। শরীরটি ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়ছে। তারপরও ক্ষুধার যন্ত্রণা আর অভাবের তাড়নায় জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। আর কত বয়স হলে আমি বয়স্ক ভাতা পাবো।’ ইট ভাঙতে-ভাঙতে নিজের ক্ষোভের ও কষ্টের কথাগুলো এভাবেই জানালেন মসলেম উদ্দীন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মসলেম উদ্দিনের বাড়ি ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই এলাকার গয়াসপুর বটতলা কলোনিতে। বাড়িতে আছে স্ত্রী জহুরা খাতুন। তিনি অ্যাজমার রোগী। দুই ছেলে বিয়ে করে আলাদা। তিন মেয়ের মধ্যে কেবল বড় মেয়ে বিধবা হয়ে বাড়িতে বসে আছে। বাবার সঙ্গে মেয়েও খোয়া ভাঙে।
স্ত্রী জহুরা খাতুন জানান, মানুষটার যে কি কষ্ট তা চোখে দেখা যায় না। ভোটের সময় মেম্বর চেয়ারম্যানরা বলেছিলেন, ভোট দাও বয়স্ক ভাতা পাবে। কেও কথা রাখেনি। এই দুনিয়ায় আমাদের কী সাহায্য করার মতো কেউ নেই? -জাগো নিউজ
৩১ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম