বৃহস্পতিবার, ০৫ জুলাই, ২০১৮, ০২:২৭:৫১

হিজড়া হতে গিয়ে দুই যুবকের করুণ পরিণতি

হিজড়া হতে গিয়ে দুই যুবকের করুণ পরিণতি

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় হিজড়াদের প্রলোভনে ‘অস্ত্রোপচার’ করে মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়েছেন দুই যুবক। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পুরুষাঙ্গসহ অণ্ডকোষ কেটে ফেলে এখন তাদের জীবন বিপর্যস্ত।

কর্মক্ষম ও সুস্থসবল দুই ছেলের এমন কাণ্ডে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে দিনমজুর পরিবার দুটি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, স্থানীয় রত্না হিজড়ার লোভনীয় প্রলোভনে তারা এ কাজ করেছেন।

ভুক্তভোগীরা হলেন, উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের কেসমত আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (১৮) ও ঘোপপাড়া গ্রামের সামছুল ইসলামের ছেলে কাজল হোসেন (২০)।

শরিফুলের বাবা কেসমত আলী জানান, কালীগঞ্জ শহরের দাসপাড়ার হিজড়া সর্দার রত্না শরিফুল ও কাজলকে টাকা ও বাড়ি-গাড়ির প্রলোভন দেখিয়ে ঈদের ১০ দিন আগে বেড়ানোর নাম করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির ১৫ দিন পর তারা বাড়িতে ফিরে আসে। এরপর দেখা যায় তাদের উভয়েরই পুরুষাঙ্গসহ অণ্ডকোষ কেটে বাদ দেয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী শরিফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে আমার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিছানায় শুয়েই সময় পার করছি। আমার পরিবারও চিকিৎসার খরচ বহন করতে পারছে না।

ভুক্তভোগী কাজল হোসেন বলেন, আমাকে প্রলোভন দেখিয়ে রত্না ও আসমানী হিজড়া বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেত। আমি হিজড়া হলে চাপালী বাজার ও স্থানীয় কয়েকটি গ্রাম আদায় করে অর্থ রোজগারের ব্যবস্থা করে দেবে বলে আশ্বাস দেয়। এরপর তারা আমাকে ও শরিফুলকে অচেনা জায়গায় একটি ভাঙাচোরা বাড়িতে নিয়ে যায়। সকালে জ্ঞান ফিরলে দেখতে পাই আমাদের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে এবং নাক ও কান ফোঁড়ানো হয়েছে।

কাজলের বাবা শামসুল ইসলাম জানান, আমার ছেলের জীবনটাতো নষ্ট হয়েছেই এখন আমি তার চিকিৎসার খরচও বহন করতে পারছি না।

হিজড়া সর্দার রত্নার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ভাগিনা আজিজুল জানান, তিনি ভারতে গিয়েছেন। কবে ফিরবেন কেউ জানে না।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে