নিউজ ডেস্ক: ১৫ টাকার ওষুধের দাম নিল ৬০০ টাকা! কাঁদলেন অসহায় দরিদ্র রিকশাচালক! দরিদ্র রিকশাচালক তার গর্ভবতী স্ত্রীর জন্য ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন ফার্মেসিতে। ওষুধের দোকানদার তার কাছ থেকে ‘সোলাস’ নামের বিদেশি একটি ওষুধের দাম চায় ৬০০ টাকা। অথচ সোলাস ওষুধের দাম মাত্র ১৫ টাকা।
দরিদ্র ওই রিকশাচালকের নাম সিরাজ উদ্দিন। ফার্মেসিতে চড়া মূল্যে ওষুধ কেনার বিষয়ে সিরাজ উদ্দিন বলেন, ‘আমার সিজারিয়ান স্ত্রীর জন্য রিকশা বিক্রি করে ওষুধ কিনতে ফার্মেসিতে যাই। কিন্তু কত কি দাম ওষুধের তা তো সঠিক জানি না। তারা যে টাকা বলেছেন সেটাই দিয়েছি। বুঝতে পারিনি ১৫ টাকার ওষুধের দাম ৬০০ টাকা রাখবে তারা!’
এ ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহ শহরের একটি ফার্মেসিতে। ঝিনাইদহে ক্রেতা ও রোগীদের কাছ থেকে ইচ্ছামতো বিভিন্ন ওষুধের দাম নিচ্ছে ফার্মেসি মালিকরা। বিশেষ করে সিজারিয়ান ওষুধগুলোর গলাকাটা হারে দাম নেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, এভিডিল নামের একটি ওষুধের দাম মাত্র ২৫ টাকা। অথচ এই ওষুধের দাম রাখা হয় ৩০০ থেকে ৫৭০ টাকা পর্যন্ত। কখনো ৬০০ টাকাও রাখা হয়। ১৫ টাকার ওষুধের দাম ৬০০ টাকা! কাঁদলেন অসহায় রিকশাচালক
রবিবার দুপুরে সদর হাসপাতাল সংলগ্ন শহরের হামদহ এলাকার মাতৃছায়া ফার্মেসি, পান্না ফার্মেসি ও সিদ্দিক ফার্মেসি থেকে নাড়ু গোপাল, সিরাজ উদ্দিন ও নাসির বিশ্বাস নামের তিন ব্যক্তি এভিডিল ও সোলাস ওষুধ কিনতে যান।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৫ টাকার এভিডিল ওষুধের দাম ৩০০ টাকা এবং ১৫ টাকার সোলাস ওষুধের দাম ৬০০ টাকা রাখে তিন ফার্মেসি। ওষুধের দাম অতিরিক্ত রাখায় কান্নায় ভেঙে পড়েন নাড়ু গোপাল ও নাসির বিশ্বাস।
সেই মুহূর্তে ওসব ফার্মেসিতে হঠাৎ হাজির হন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওষুধের দাম অতিরিক্ত রাখার প্রমাণ হাতেনাতে পান ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাত্রাতিরিক্ত দাম রাখার দায়ে তিন ফার্মেসিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে এক মাস করে কারাদণ্ড দেন। তবে ফার্মেসি মালিকরা অপরাধ স্বীকার করে জরিমানা দিয়েছেন।