কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ): ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় চিরকুট লিখে ৮ম শ্রেণির ছাত্র আ'ত্মহ'ত্যা করেছে। নিহ'তের নাম মো. আবদুল্লাহ।
মৃ'ত্যুর আগে ছাত্র মো. আবদুল্লাহ চিরকুটে যা লিখে যায় তা হুবহু তুলে ধরা হলো– ‘আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। আমি জানি তুমি সাদ, সিজানসহ আরও অনেক অনেক ছেলের সঙ্গে কথা বলো। কিন্তু আমি কিছু মনে করি না; কারণ আমি তোমাকে ভালোবাসি। তুমি যখন যেটি চাও আমি তাই দিয়েছি। তোমার সাথে যারা দেহ দিয়ে প্রেম করেছে; তাদের সাথে তুমি কথা বলো। আর আমি মন দিয়ে প্রেম করেছি, তাই আমি তোমাকে পাইনি। আর তোমার জন্য আমি অনেক কাঁদি; পরশু দিনও অনেক কেঁদেছি। নাছিম বলে ওর চেয়ে অনেক ভালো মেয়ে পাবি; আমি বললাম না– আমি তোমাকে ছাড়া আমি মো'রে যাব। ইতি তোমার ভালোবাসা।’
শুক্রবার বিকালে উপজেলার গোমরাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহ'ত মো আবদুল্লাহ ভাটাডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র ও একই এলাকার বাসিন্দা।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে স্কুল মাঠ থেকে বাড়ি ফিরে আর খেলার মাঠে যায়নি আবদুল্লাহ। সহপাঠীরা তাকে ডাকতে এসেছিল। তাকে না পেয়ে পড়ার ঘরে ছুটে যায় সহপাঠীরা। কিছুক্ষণ ডাকাডাকির পর কোনো সাড়া না পেয়ে ঘরের জানালা দিয়ে দেখতে পায় আবদুল্লাহ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝু'লছে। এর পর তাদের চিৎ'কারে প্রতিবেশীরা এসে দরজা ভে'ঙে আবদুল্লাহকে নামায়। এর পর কালীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃ'ত ঘোষণা করেন।
এদিকে একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে বাকরু'দ্ধ মা। ঘটনার দিন তিনি ছিলেন আবদুল্লাহর নানাবাড়িতে। আর বাবা আবদুল কুদ্দুস মালয়েশিয়া প্রবাসী। ছেলের মৃ'ত্যুর সংবাদ শুনে তিনিও রোববার সকালে দেশে এসে ছেলের জা'নাজায় শরিক হন। এর পর বাড়ির পাশে তাকে দা'ফন করা হয়।
স্বজনরা জানান, আবদুল্লাহর মৃ'ত্যুর কারণ জানতে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ম'র্গে পাঠায়। সেই রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত অধরাই থেকে যাচ্ছে তার মৃ'ত্যুর রহস্য। তবে আবদুল্লাহর মৃ'ত্যুর রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে তার নিজ হাতে লিখে যাওয়া চিরকুটকে ঘিরে।
চিরকুটের ভাষা অনুযায়ী, এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কারণেই আবদুল্লাহ আ'ত্মহ'ত্যা করেছে। অথবা প্রেম সম্পর্কের জের ধ'রে মেয়ে পক্ষের লোকজন তাকে মা'রধ'র করেছে এমন কথাও লোকমুখে শোনা যাচ্ছে।
কালীগঞ্জ থানার এসআই কাজী আবুল খায়ের জানান, থানায় এ ব্যাপারে একটি অপমৃ'ত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত তদন্তের স্বার্থে এ ব্যাপারে কিছুই বলা যাচ্ছে না।