ঝিনাইদহ : করোনায় আক্রা'ন্তের প্রায় সব উপস'র্গই নিয়েই শনিবার রাতে মা'রা যান ইসরাইল হোসেন। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নমুনা সংগ্রহসহ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে রবিবার (১২ এপ্রিল) সকালে স্বজনদের কাছে মরদে'হ হস্তান্তর করে। কিন্তু গ্রামবাসী খা'টিয়া না দেওয়ায় লা'শ মাটিতে রেখেই জা'নাজা সম্পন্ন করা হয়।
জানা গেছে, মৃ'তদে'হের দা'ফন ও কা'ফনের ব্যবস্থা করেন কালীগঞ্জ উপজেলার ছয় জন আলেম। হাসপাতাল থেকেই ম'রদেহের গোসল করানো হয়। এরপর কালিগঞ্জ থানা পুলিশ ও আলেমদের মাধ্যমে একটি সিএনজিতে ম'রদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মৃ'ত ব্যক্তির গ্রাম ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ইউনিয়নের খানজাপুরে। এসময় জা'নাজা পড়ানোর জন্য আলেমদের পক্ষ থেকে গ্রামের মসজিদের খা'টিয়া চাওয়া হয়। কিন্তু গ্রামবাসীরা খা'টিয়া দিতে রাজি না হওয়ায় লা'শ মাটিতে রেখেই জা'নাজা সম্পন্ন করেন তারা।
ম'রদে'হের দা'ফন-কা'ফনের কার্যক্রম সম্পন্ন করেন কালীগঞ্জ মেইন বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের ঈমাম ফারুক নোমানী, মাওলানা রুহুল আমিন, হাফেজ হেদায়াতুল্লাহ, মাওলানা ইয়াসিন, মাওলানা আতাউর রহমান ও হাফেজ শাহ জালাল।
ঈমাম ফারুক নোমানী জানান, জা'নাজার নামাজ পড়ানোর জন্য গ্রামবাসীর কাছে মসজিদের খা'টিয়া চাওয়া হয়। কিন্তু গ্রামবাসী সেটা দিতে অস্বীকার করে। পরে ম'রদে'হ মাটিতে রেখেই জানাজা সম্পন্ন করে লা'শ দাফ'ন করা হয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমা শিরিন মৃ'ত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা স্বজনদের বরাত দিয়ে বলেন, 'চারদিন ধরে জ্বর ছিল, কাশিও ছিল এবং তার গলাব্যাথাও ছিল। শনিবার রাতে হাসপাতালে আনার পথে রাস্তায় মা'রা গেছেন তিনি।'
অপরদিকে কালীগঞ্জ থানার এসআই কাজী আবুল খায়ের জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে ইসরাইল হোসেন মা'রা যাওয়ার পর থেকে দা'ফন পর্যন্ত তিনি পুলিশ নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। ।