সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০১৬, ০২:২৩:৪১

ঝিনাইদহে শিক্ষার্থী-ইমামসহ ১০ জন নিখোঁজ

ঝিনাইদহে শিক্ষার্থী-ইমামসহ ১০ জন নিখোঁজ

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের ছয় উপজেলায় যুবলীগ নেতা, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমামসহ ১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এদের মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চাপড়ী গ্রামের হাসান আলী নামে দশম শ্রেণির  এক স্কুলছাত্র গত ১ বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় হাসানের মা সুন্দরী বেগম গত ১৩ জুলাই ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।


প্রাপ্ত তথ্য মতে, শুধু ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ছয়জন, শৈলকুপা উপজেলায় দু’জন, কালীগঞ্জ উপজেলায় একজন ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় একজনসহ মোট ১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তবে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এসব নিখোঁজের বিষয় অস্বীকার করে বলেছেন, তাদের থানায় নিখোঁজের কোনও খবর নেই। কোনও তালিকাও নেই।


বিভিন্ন সূত্রে যাদের নিখোঁজ থাকার খবর পাওয়া গেছে  তারা হচ্ছেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)থেকে এমএ পাস করা কালীগঞ্জ উপজেলার ষাটবাড়ীয়া গ্রামের মসজিদের ইমাম ও হোমিও চিকিৎসক আব্দুল হাই। তিনি ওই গ্রামের মৃত আশরাফ মহুরির ছেলে।


শৈলকুপা উপজেলার চরফুলহরি গ্রামের আমিরুল ইসলাম মণ্ডলের ছেলে শাহিন হোসেন পরশ, একই উপজেলার মুচড়াপাড়া পুটিমারী গ্রামের লুৎফর হোসেনের ছেলে ইবি ছাত্র সাইফুল ইসলাম মামুন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চাপড়ী গ্রামের দশম শ্রেণির ছাত্র হাসান আলী, একই উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়নের কোরাপাড়া বটতলা এলাকার হোসেন আলী মোল্লার ছেলে যুবলীগ কর্মী জাহিদ ওরফে কোবরা জাহিদ, ঝিনাইদহ জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি খয়বর রহমানের ছেলে হলিধানী বাজারের রাশেদ ওরফে রোজ,

আদর্শপাড়া কচাতলার আবুল কালাম আজাদের ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র আব্দুর রব, আরাপপুর চানপাড়ার মাদ্রাসার শিক্ষক শাহ আলমের ছেলে আজমুল হুদা, ঝিনাইদহ শহরের উপশহরপাড়া পাবলিক হেলথ জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন ছোটকামারকুণ্ডু গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে সোহল রানা ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পাবর্তীপুর গ্রামের শহিদুল সর্দারের ছেলে মাংস ব্যবসায়ী উজ্জ্বল সর্দার।


এদের মধ্যে উজ্জ্বল ও হাসান আলী  ছাড়া আটজনকে সাদা পোশাকের লোকজন পুলিশ পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যায় বলে স্বজনেরা অভিযোগ  করেছেন। এ ঘটনায়  জেলাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ২/৩ টি নিখোঁজের বিষয়ে জিডি হলেও বাকিদের বিষয়ে কোনও তথ্য পুলিশের কাছে নেই।


ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার জানান,এক বছর আগে হাসান আলী নামের এক স্কুলছাত্র নিখোঁজের ব্যাপারে কয়েকদিন আগে তার মা থানায় একটি জিডি করেন। এছাড়া, আমার কাছে আর কোনও নিখোঁজের খবর নেই। 

এছাড়া, শৈলকুপা থানার ওসি তরিকুল ইসলাম, মহেশপুর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, কোটচাঁদপুর থানার ওসি আহম্মেদ কবীর হোসেন, কালীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই ইমরান আলম ও হরিণাকুণ্ডু থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মনিরুল ইসলাম জানান, তাদের থানায় নিখোঁজের কোনও তথ্য বা জিডি নেই। শুধু হরিণাকুণ্ডু থানায় মাংস ব্যবসায়ী  উজ্জ্বল সর্দারের  নিখোঁজের ব্যাপারে তার বাবা শহিদুল সর্দ্দার একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বিষয়টি অপহরণ নাকি অন্য কিছু তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে বলে জানান তিনি।-বাংলাট্রিবিউন

১৮ জুলাই, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে