ঝিনাইদহ : ‘বাবাকে ৬ বছর আগে হত্যা করে লাশ গুম করে রাখে সন্ত্রাসীরা। এক মাস পর পুলিশ গলিত লাশ উদ্ধার করে। বাবার স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে তাকে গ্রামের কবরস্থানে দাফন করি। মাঝে মধ্যে বাবার কবর জিয়ারত করতে সেখানে যেতাম। কিন্তু কঙ্কাল চুরি হওয়ার পর আমরা চরমভাবে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত হই। একের পর এক কবর থেকে লাশ চুরি হওয়ার পর এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে।’ এভাবেই নিজের মনের কষ্টের কথা জানালেন নবীন মিয়ার মেয়ে শিলা খাতুন।
সরেজমিনে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুর তাহেরহুদা ইউনিয়নের কবরস্থানগুলো পরিদর্শন করে জানা যায়, জুলাই মাসে ৬ জনের কবর থেকে কঙ্কাল চুরি হয়েছে।
গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেন, ১৩ জুলাই গাজীপুর গ্রামের রমজান আলী ব্যাপারীর কবর খুঁড়ে প্রথম কঙ্কাল চুরি করে দুর্বৃত্তরা। এরপর গত ২৬ ও ২৭ জুলাই পর্যায়ক্রমে ওই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী (৭০), রমজান আলী (৭১), বদরউদ্দিন ওরফে বুদো (৬৮), নবীন আলী (৬২), নিয়াল মন্ডলের স্ত্রী ও আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জের আলীর (৭৫) কঙ্কাল কে বা কারা চুরি করে।
এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ এখনো এই চক্রকে ধরতে পারেনি। এদিকে বিভিন্ন কবরস্থান থেকে লাশের কঙ্কাল ও হাড়গোড় চুরি হওয়ায় গ্রামে গ্রামে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তাহেরহুদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনজুর আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি নিজেও গাজীপুরের কবরস্থানে গিয়ে ঘটনাটি দেখে এসেছি। এ নিয়ে মৃত ব্যক্তির স্বজনদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
হরিণাকুন্ডু থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে কবরস্থানগুলো গর্ত করা দেখা গেছে। আমরা বিষয়টি অনুধাবন কারার চেষ্টা করছি। -জাগো নিউজ
৩১ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম