মোঃ মিনহাজুল ইসলাম হৃদয়, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ "শ্রমকে শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহন কর, কালি - ধূলার মাঝে, রৌদ্র -বৃষ্টিতে কাজের ডাকে নেমে যাও'। তাই কি শিশু শ্রম ?
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার লোগাং বাজারে শুক্রবারে সকাল ১০ টায় দেখতে পেলাম গাছের মধ্যে জীবনকে বাজি রেখে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাছের ডাল কাটতেছে শাহিন এবং প্রচন্ড গরম আর রৌদ্রতেজে কাঠ কাটতেছে ইয়াছিন ও সবুজ।
শাহিন সম্পর্কে জানা যায়, শাহিনের বয়স ৮ বছর। সে ৪র্থ শ্রেণীতে লোগাং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে, তার বাবা নেই, মা আছে তারা দুই জন। কিন্তু তার মায়ের এক হাত ভাঙ্গা কোনো রকম কাজ -কর্ম করে জীবিকানির্বাহ করে। আর শাহিন পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন কাজ করে তাদের পরিবারের খাদ্য যোগানে তার মা কে সাহায্য করে। শাহিনের মায়ের কাছে জানা যায়, দুই বেলা দু' মুঠো খাবারের জন্য মা - ছেলে দু' জনেই কাজ করে, তবুও কোনো কোনো দিন না খেয়ে দিন যাপন করতে হয়েছে। তাদের আছে বলতে একটি রেশন কার্ড। শাহিনের মা দুঃখের সাথে বলতেছে, বছর কয়েক আগে হঠাৎ বিকালে শাহিন তার মা কে বলতেছে তার নাকি (পীঠের নিচে সাইডে) প্রচন্ড ব্যথার অনুভব হচ্ছে, তার মা তাকে বলতেছে কিছু হবে না। এই রকম বলতেছে মাস ধরে,তারপর তার মা রেশন বিক্রি করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান,
ডাক্তার বলেন, শাহিনের নাকি কিডনিতে সমস্যা দ্রুত চিকিৎসা করালে ভালো হয়ে যাবে। তার মা চিন্তা করতেছে এত টাকা পাবে কোথায়। তারপর শাহিনের চিকিৎসা করা হলো না। কোনো রকম খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছেন।
অন্য দিকে ইয়াছিন ও সবুজ কাঠ কাটা,ঠেলা গাড়ি ইত্যাদি কাজ কর্ম করে লেখা পড়া ও পেট চালাছে।
কোনো কর্তৃপক্ষ আছে কি? এই শিশু শ্রম বন্ধ করার বা তাদের জন্য কিছু করার?
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস