খাগড়াছড়ি থেকে : প্রেম ভেঙে যাওয়ার প্রতিশোধ নিতে প্রেমিকা ইতি চাকমাকে হত্যা করেছেন তার প্রেমিক রনি চাকমা। ইতি চাকমা খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। প্রেমিক রনি ছিল তার সাবেক সহপাঠী।
এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া রনির সহযোগী তুষার চাকমা। খাগড়াছড়ির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমানের খাস কামরায় গ্রেফতার তুষার চাকমা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান।
পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান বলেন, সাবেক প্রেমিক সহপাঠী রনি চাকমার সঙ্গে ইতি চাকমার বিচ্ছেদের প্রতিশোধ নিতে তাকে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের দিন ইতি চাকমার বাসা খালি ছিল। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে রনি চাকমার নেৃতত্বে তুষার চাকমাসহ অন্যান্যরা ইতি চাকমাকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে। হত্যা নিশ্চিত হতে তার গলা কেটে দেয়া হয়।
এ সময় ভেতরে ৩ জন এবং বাইরে ২ জন ছিল। পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রভাবিত করতে হত্যাকারীরা ইউপিডিএফ সমর্থিত পিসিপিসহ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলনে অংশ নেয় বলে আদালতে স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন এসপি আলী আহমদ খান।
মোবাইল ট্র্যাকিংসহ নানা কৌশল অনুসরণ করে গতকাল রোববার বিকেলে খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের ওসি তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান ও এসআই আব্দুল্লাহ আল মাসুদের সহায়তায় জেলা সদরের চেঙ্গী স্কোয়ার এলাকা থেকে হত্যাকারী তুষার চাকমাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার তুষার চাকমা রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বালুঘাট এলাকার সুনীল চাকমার ছেলে। তুষারের মা নিরূপা চাকমা ইউপিডিএফ সমর্থিত সাজেক নারী সমাজ সংগঠনের নেত্রী।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে জেলা সদরের আরামবাগ এলাকায় ভগ্নিপতির ভাড়া বাসায় বোন ও ভগ্নিপতির অনুপস্থিতিতে গলাকেটে হত্যা করা হয় খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ইতি চাকমাকে।
এমটিনিউজ/এসএস