খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি থেকে জেসমিন আক্তার (২৫) নামে এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দিনগত রাতে মানিকছড়ির মাস্টারপাড়ার ভাড়া বাসায় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জেসমিন লক্ষীছড়ি উপজেলার শীলছড়ি গ্রামের আলমগীর হোসেনের মেয়ে। বিয়ের ৩ থেকে ৪ মাস পর পরিবারের চাপে স্বামী তার নানার বাড়িতে আত্মগোপন করেন। এ কথা জানতে পেরে স্বামীর অধিকার ফিরে পেতে সেখানে উপস্থিত হন নববধু। এ নিয়ে একাধিকবার সামাজিক সালিশ হলেও বিচার না পেয়ে জেসমিন নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, গত ৩ বছর আগে জেসমিনের বাবার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর মা জুলেখা বেগম এক ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে মানিকছড়িতে ভাড়া বাসায় থাকা শুরু করেন। পরে তিনি চাকরি করতে বিদেশ পাড়ি জমান। এসময় কলেজ পড়ুয়া জেসমিনের সঙ্গে মানিকছড়ির তিনটহরী এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে জুনায়েদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এবং গোপনে তারা বিয়ে করেন।
তবে ছেলের পরিবার বিয়ে না মেনে মেয়েকে তালাক দিতে ছেলের ওপর চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে ছেলে আত্মগোপনে চলে যায়। এ নিয়ে একাধিকবার সামাজিক সালিশ হলেও বিচার না পেয়ে জেসমিন নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা যায়।
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। স্বামীর অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করায় সে এ পথ বেছে নিয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।