এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : অতি ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চেঙ্গী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ডুবে গেছে খাগড়াছড়ির নিচু এলাকা। শনিবার রাতের ভারি বর্ষণে জেলা শহরের নিচের বাজার, গরুবাজার, মেহেদীবাগ, উত্তর গঞ্জপাড়া, শব্দমিয়া পাড়াসহ আশপাশের বেশ কিছু এলাকা পানিতে ডুবে যায়।
আকস্মিক জলাবদ্ধতায় চলাচলের রাস্তা ও ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পানিবন্দি রয়েছে প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার।
রোববার সকাল থেকে বৃষ্টি না হলেও চেঙ্গী নদীতে পানি বাড়াতে শহরের বিভিন্ন খালে পানি আটকে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।
মেহেদীবাগ এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, রাতে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। এ বৃষ্টিতে বন্যা হওয়ার কথা নয়। এ কারণে আমাদের কোনো প্রস্তুতি ছিল না। সকালে কিছু বুঝে উঠার আগেই ঘরে বন্যার পানি ঢুকে যায়। এতে অনেক কিছুই নষ্ট হয় গেছে।
দীঘিনালার ১ম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কার্যালয়ের বেলুন মেকার সুভূতি চাকমা বলেন, শনিবার রাতে ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে; যা এই মৌসুমে সর্বোচ্চ।
খাগড়াছড়ি পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, আমরা বন্যায় আক্রান্তদের খোঁজখবর নিচ্ছি। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের মাঝে আমরা খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যেহেতু রোদ উঠেছে আর ঢলের পানির কারণে পানি এসেছে আশাকরি বন্যার পানি দ্রুত কমে যাবে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, আকস্মিক বন্যার খবর পাওয়ামাত্রই আমরা আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দিয়েছি। বন্যায় আক্রান্তরা আশ্রয় কেন্দ্রে এলে তাদের জন্য পানি, খাবারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।