পানছড়ি ডিগ্রী কলেজের ২৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী-নবীণ বরণ
মোঃ মিনহাজুল ইসলাম(হৃদয়): খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি ডিগ্রী কলেজের ২৩তম প্রতিষ্টা বার্ষিকী ও নবীণ বরণ অনুষ্টান আজ সম্পন্ন হয়েছে।
এই উপলক্ষে পানছড়ি ডিগ্রী কলেজ মাঠে দুপুর ১২টায় কলেজের অধ্যক্ষ সমীর দত্ত চাকমার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য খগেশ্বর ত্রিপুরা, সতীশ চন্দ্র চাকমা, শতরুপা চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পদক মোঃ দিদারুল আলম প্রমূখ।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, পানছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ বাহার মিয়া, সাধারণ সম্পাদক জয়নাথ দে, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবু তাহের, খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জহির উদ্দিন ফিরোজসহ
আওয়ামীলীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মী, কলেজের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা।
কলেজের অধ্যাপক রত্ন কুমার চাকমা সঞ্চালিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক শান্তি ময় চাকমা। আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেন জ্যোসনা আক্তার, গীতা পাঠ করেন তপন ত্রিপুরা, ত্রিপিঠক পাঠ করেন লচেন্দ্র মারমা ও বাইবেল পাঠ করেন সুবীশ ত্রিপুরা। ধর্মগ্রস্থ পাঠ শেষে নবীণ শিক্ষার্থী ও অতিথিদের বরণ করে নেন কলেজের
প্রবীণ শিক্ষার্থীরা।
এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষার্থীরা শুধু লেখাপড়া জন্য লেখাপড়া করলে চলবে না, শিক্ষা ও জাতি এবং দেশের জন্য কাজ করার মানসে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, অনেক প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়ে পানছড়ি ডিগ্রী কলেজ এগিয়ে যাচ্ছে, আমার অবস্থান থেকে এই প্রতিষ্টানটির জন্য আমি কাজ করে যাব, কিন্তু তোমরা শিক্ষার্থীরা ভাল ভাবে
লেখা পড়া করে জাতীর জন্য কাজ করবে।
বিশেষ অতিথি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য খগেশ্বর ত্রিপুরা কলেজ প্রতিষ্টাকালীন সময়ের প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিষ্টাকালীন সময়ে যারা এই কলেজ প্রতিষ্টায় ভূমিকা রেখেছে তাদের কথা স্বরণ করে বলেন, আজ এই কলেজ ২৩বছরে প্রদার্পণ করেছে। এই কলেজের ছাত্র/ছাত্রীরা কেউ আজ সরকারের বড়বড় আমলা, কেউ দেশের বাহিরে বড়বড় চাকুরী করছে, কেউ ব্যারিষ্টার, কেউ ডাক্তারসহ বিভিন্ন পেশায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি ছাত্র/ছাত্রীদের ভাল ভাবে মন দিয়ে পড়া শুনার আহবান করেন।
বিশেষ অতিথি খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ দিদারুল আলম বলেন, ছাত্র/ ছাত্রীদের লেখা পড়ায় উৎসাহ দিতে আমি আমার অবস্থান থেকে অতিতেও কাজ করেছি, বর্তমানেও কাজ করছি এবং আগামীতেও করবো। কলেজের কম্পিউটার সল্পতার কথা শুনে তিনি তার ব্যাক্তিগত পক্ষ থেকে এক সেট আইটি প্রদানে ঘোষনা দেন।
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কলেজ লাইব্রেরীর জন্য নগদ ১ লাখ টাকা ও বিশেষ অতিথি খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ দিদারুল আলম গরীব সাওতাল ২শিক্ষার্থী সাগরীকা সাওতাল এবং লক্ষী সাওতালকে নগদ ১০ হাজার টাকা করে ২০হাজার টাকা প্রদান করেন।
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস