মোঃ মিনহাজুল ইসলাম(হৃদয়) খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার অন্তরভূক্ত ১নং লোগাং ইউনিয়ন এর ৪নং ওয়ার্ডের লোগাং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ১৯৬৪ সালে।বিদ্যালয়টির ধরন জরাজীর্ণ টিনের ছাউনী, বিদ্যালয়ের কক্ষ সংখ্যা ৩ টি এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫৫ জন ও শিক্ষক এর সংখ্যা ৪ জন। বর্তমানে বিদ্যালয়টির অবস্থা গিয়ে দেখতে পেলাম খুবই
সুচনীয় আকার ধারন করেছে, কক্ষের দেওয়ালগুলোতে ফাটল ধরেছে, এছাড়া বৃষ্টি এলে জরাজীর্ণ টিনের ছাউনী দিয়ে কক্ষের ভেতরে পানি পড়ে, এই অবস্থায় অভিবাবকরা ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে পাঠাতে আতংকে থাকেন বলে জানান স্থানীয়রা,ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পাঠদান করাতে ব্যাঘাত ঘটে শিক্ষকদের। এছাড়া কক্ষেরও স্বল্পতা রয়েছে। কক্ষগুলো ছোট হওয়াতে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে বসতে হয়।
তারপরেও দুর-দুরান্তের ৪টি গ্রাম থেকে এই সদর বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে। এই ইউনিয়নে বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৮ টি তার মধ্যে এটি একটি, অন্যসব বিদ্যালয়গুলো ভবন সম্পূর্ণ হয়েছে কিন্তু এই সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়টির কাজ হচ্ছে না। এই বিদ্যালয়টি থেকে প্রতি বছরই সমাপনী পরীক্ষায় ভালো জিপিএ নিয়ে সন্তোষ জনক ফলাফল করেন। এছাড়া বিদ্যালয়টি সমাপনী মডেল টেষ্টের
পরীক্ষার সেন্টার, তাছাড়া কক্ষ স্বল্পতার কারণে সমাপনী পরীক্ষার সেন্টার লোগাং বাজার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে নিতে হচ্ছে। খুবই দঃখের বিষয় তার পড়েও কর্তৃপক্ষের কারও এই বিষয়টি নজরে আসেনি। এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবদুল খালেক জানান,পাঠদান করাতে ও মডেল টেস্ট পরীক্ষা নিতে অনেক সমস্যা হয়। তাছাড়া তিনি আরো জানান, ২৯৮ নং সংসদ সদস্য মাননীয় এম পি মহোদয় থেকে
দুই-দুইবার ডিও লেটার নিয়ে মন্ত্রণালয়ে পাঠান,কিন্তু এখনও পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের কারোরি নজরে আসছেনা। তাহলে এই সদর বিদ্যালয়টির ভবিষ্যৎ কী অন্ধকারেই রয়ে যাবে।২২ আগস্ট ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএ