খাগড়াছড়ি : আশা নিয়ে ধরেছিল কোটি টাকার একটি তক্ষক, কিন্তু সে আশায় গুঁড়েবালি। খাগড়াছড়ি জেলার বিলাইছড়ি গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের পুত্র সলেমান (২৮) ও একই গ্রামের ফজলুল হক গাজীর পুত্র ফারুক হোসেন ৭ দিন আগে পাহাড় থেকে একটি বিরল প্রজাতির প্রাণী তক্ষক ধরে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে নিয়ে যান।
আশা ছিল ভারতে বিক্রি করে দেবে। তারা তক্ষকটি নিয়ে মহেশপুরে যাদবপুর ইউনিয়নে সীমান্ত ঘেঁষা কানাইডাঙ্গা গ্রামের মৃত জাহান আলী পুত্র লিয়াকত আলীর বাড়িতে উঠেন।
তক্ষকটি ভারতে বিক্রি হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে রোববার গভীর রাতে মহেশপুর থানার এএসআই শামছুল আলম তাদের তক্ষকসহ আটক করে। পরে সোমবার বিকেলে মহেশপুর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা কমিশনার (ভূমি) চৌধুরী রওশন ইসলাম বন্যপ্রাণী ধরা ও বিক্রির অপরাধে প্রত্যেককে ৬ মাসের বিনাশ্রম করাদণ্ডের আদেশ দেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৌধুরী রওশন ইসলাম জানান, বিরল প্রজাতীর এ প্রাণী আগামী ২৫ বছরের ভেতর পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
এরা দিনের বিভিন্ন সময় পরিবেশের রং অনুযায়ী এদের দেহের রং পাল্টায়। এ জন্য বেশকিছু লোক অবৈধ কাজে ব্যবহার করতে এটা কেনাবেচা করে বলে জানান তিনি।
১৮ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম