খুলনা : নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) নেতা ও ঝালকাঠিতে দুই বিচারক হত্যা মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়া আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার রাত দেড়টার দিকে বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের উদয়পুর উত্তর কান্দী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে রোববার রাত সাড়ে ১০টায় খুলনা জেলা কারাগারে দণ্ডিত আরিফের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে কারা কর্তৃপক্ষ আরিফের স্ত্রী খাদিজা বেগমের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন। মোল্লাহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম খায়রুল আনাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া পাহারায় মরদেহ পৌঁছানোর পর জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। কড়া নিরাপত্তায় রাত পৌনে ১টার দিকে আরিফের মরদেহ তার শশুর বাড়ি মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর উত্তর কান্দী গ্রামে আনা হয়।
খুলনা কারাগারের জেলার ফরহাদ জানান, বেলা ১২টার দিকে আরিফের স্ত্রী, দুই মেয়েসহ পরিবারের ১২ জন সদস্য আরিফের সঙ্গে জেল খানায় সাক্ষাৎ করেন। তারা সেখানে প্রায় আধাঘণ্টা অবস্থান করেন।
খুলনা কারাগারে আরিফের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের লক্ষ্যে আগেই ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়। রোববার রাত সাড়ে ১০ টায় ফাঁসি কার্যকরের সময় উপস্থিত ছিলেন, খুলনা জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল আলম, খুলনা সিভিল সার্জন আব্দুর রাজ্জাক, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেল সুপার কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
খুলনা কারাগার সূত্র জানায়, জঙ্গি নেতা আসাদুল ইসলাম আরিফ ২০০৮ সাল থেকে খুলনা জেলা কারাগারে রয়েছেন। ২০০৬ সালের ২৯ মে দুই বিচারক হত্যা মামলার রায়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহম্মেদ জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমানের ভাই আতাউর রহমান সানি, জামাতা আবদুল আউয়াল, ইফতেখার হোসেন মামুন, খালেদ সাইফুল্লাহ ওরফে ফারুক ও আসাদুল ইসলাম আরিফের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন।
১৭, অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস