নিউজ ডেস্ক: খুলনা সিটি করপোরেশনে জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র প্রার্থী ও মহানগর জাপার সদস্য সচিব এসএম মুশফিকুর রহমান অন্যের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে আত্মগোপন করেছেন। তবে অভিযোগের ব্যাপারে এসএম মুশফিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, জিনিয়া এখন তার স্ত্রী। তার সাবেক স্বামী মামলা করেছে কি না জানা নেই।
তবে তিনি রাজনৈতিক ও ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকায় খুলনা আসছেন না। আগামী এক সপ্তাহ পর তিনি খুলনা আসবেন। তবে জিনিয়ার স্বামী গোলাম সরোয়ার বাপ্পীর মামলায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে কি-না তাও তিনি জানেন না বলে জানান।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামি মুশফিক বাদীর স্ত্রী জিনিয়ার পূর্বপরিচিত। এ জন্য মুশফিক প্রায় তাদের বাসায় যাতায়াত করতো। এ সুযোগে মুশফিক তার স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ই আগস্ট বিকাল ৩টায় তার স্ত্রী বাদীর নিজ বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার কথা বলে মুশফিকের হাত ধরে অজানায় পাড়ি জমায়। পরে বাদী তার স্ত্রীকে অনেক স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি।
এ ঘটনায় স্বামী বাপ্পী বাদী হয়ে বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মুশফিকুর রহমান (সজল) খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানার আবাসিক এলাকার ৩নং রোডের ৩১৫নং বাড়ির বাসিন্দা মৃত. আতিয়ার রহমানের ছেলে।
জানা গেছে, বরিশালের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ৮ই অক্টোবর স্বামী গোলাম সরোয়ার বাপ্পী বাদী হয়ে তার স্ত্রী হুমায়রা আহমেদ জিনিয়াকে ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে গত ১৬ই নভেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর থেকেই মুশফিক আত্মগোপনে রয়েছেন।
হুমায়রা আহমেদ জিনিয়ার স্বামী বাপ্পী বলেন, ‘মুশফিক এখন তাকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দিচ্ছে। এজন্য তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।’ এ ছাড়াও বাপ্পী গত ৫ই নভেম্বর খুলনার পুলিশ কমিশনারের কাছে মুশফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে
আইনি ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য আবেদন করেন। ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ২৯শে আগস্ট মুশফিক ও তার লোকজন বাপ্পীকে মারধর করে হত্যার চেষ্টা করে। খুলনা মহানগর জাপার যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘মুশফিকুর রহমান প্রায় ৪-৫ মাস খুলনায় অনুপস্থিত। তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। তবে মানুষের মুখে শুনেছেন, মুশফিকের নামে মামলা রয়েছে। এজন্য তিনি খুলনায় আসছেন না। জাপার আরেক নেতা যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্যা শওকত হোসেন বলেন, ‘তিনি অনেকদিন খুলনায় আসছেন না। তবে কেন আসছেন না তা তার জানা নেই।’
এ ব্যাপারে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মমতাজুল হক জানান, মুশফিকুর রহমানের নামে তার থানায় বরিশাল আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার একটি কপি এসেছে। তাকে পুলিশ খুঁজছে। তবে, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মুশফিক এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি