নিউজ ডেস্ক: খুলনা পাবলিক কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানস্থলে ছুরিকাঘাতে ফাওমিদ তানভীর নামের একজন ছাত্র নিহত হয়েছে। সে একই কলেজের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র। নিহত তানভির নগরীর বয়রা পালপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
তানভীরের মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, 'আপনাগো পায় পড়ি, আমার ছেলেডারে আইনে দেন।'
সন্তানকে হারিয়ে কোন সান্তনাই যনে বাধ মানছেনা বাবা-মার। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনবিার সাড়ে ৯টার দিকে কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে পুলিশী নিরাপত্তার মধ্যে কে বা কারা তানভীরের বুকে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তানভীরের মা বলেন, 'আমার ছেলে ক্যাডেটে এবার পরীক্ষা দিছে। ১৯৭ মার্কের উত্তর সঠিক হইছে। আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।'
তানভীরের স্বজন বলেন, 'ফাহিম নামের একটা ছেলের সাথে ঝগড়া হয়েছে। এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে মিটেও গেছে। গান দেখে বাড়ি ফেরার পথে ওরা কয়েকজন মিলে তানভীরকে ছুরি মারছে।'
অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. রফিকুল ইসলাম গাজী।
এদিকে তানভীরের মৃত্যুর খবর কলেজ ক্যাম্পাসে পৌঁছানোর পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদরে জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
অধ্যক্ষ খুলনা পাবলিক কলেজ লেঃ কর্নেল কাজী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'আমরা পুলিশ, র্যাবকে চিঠি লিখেছি। ঘটনা এমন জায়গায় ঘটেছে যেখানে লোক সমাগম একটু কম ছিলো।'
নিহত তানভীর নগরীর বয়রা পালপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস