খুলনা: এজেন্ট বের করে দেয়ার বিষয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর অভিযোগ পেয়ে দুটি কেন্দ্রে গিয়ে জানা গেছে, এজেন্টরা তার কোনো এজেন্ট যাননি।
খুলনা জিলা স্কুলে দুইটি কেন্দ্রে মোট ১২টি বুথের কোনোটিতেই বিএনপির এজেন্ট পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার পৌনে নয়টায় এই কেন্দ্রে গিয়ে এমন চিত্র চোখে পড়ে।
সকালে নগরীর রহিমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে প্রথমে ২৫টি ও পরে ৩০টি কেন্দ্র থেকে তারে এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ করেন বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এর মধ্যে কিছু ওয়ার্ডের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। এর একটি ২২ নম্বর ওয়ার্ড, যেটি আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেকের নিজের এলাকা হিসেবে পরিচিত।
মঞ্জুর অভিযোগের পর জিলা স্কুলে গিয়ে ১৭৯ ও ১৮০ নং কেন্দ্রে বিএনপির কোনো এজেন্টকে পাওয়া যায়নি। ৭৯ নং কেন্দ্রে আটটি ভুথ রয়েছে। এর কোনোটিতেই বিএনপির এজেন্ট নেই। তবে নৌকা, ঠেলাগাড়ি, ঘুড়ি, মিষ্টি কুমড়ার এজেন্ট আছে।
এ বিষয়ে জনতে চাইলে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান বলেন, ‘বিএনপির এজেন্টের আসার কথা ছিল সাতটায়। কিন্তু তারা এখনও আসেনি। কেন্দ্রে না আসলে তো আমাদের কিছুই করার নাই।’ ভোট শান্তিপূর্ণভাবেই হচ্ছে জানান আতিয়ার রহমান। ভোটাররাও একই কথা জানান সেখানে।
ধানের এজেন্ট বের করে দেয়া হয়েছে এমন অভিযোগ সম্পর্কে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা বলেন, ‘তারা তো আসেই নাই। বের করার তো প্রশ্নই আসে না।’
১৮০ নং কেন্দ্রে চারটি বুথ। সেখানেও ধানের শীষের কোনো এজেন্ট পাওয়া যায়নি। এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা কাজী ইব্রাহীমও ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমাট এখানেও ধানের শীষের এজেন্ট আসেনি। তবে নৌকা আর অন্যান্য প্রতীকের এজেন্ট আছে।’
কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ কর্মকর্তা ইস্রাফিল আলম বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চলছে। আমরা এজেন্ট খুঁজে খুঁজে ডেকে আনছি্। এখন কেউ যদি কেন্দ্রে না আসে আমরা তো আর বাসা থেকে নিয়ে আনতে পারব না।’
মঞ্জু সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে, তাদেরকে মারধর করা হয়েছে।
তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক এ প্রসঙ্গে বলেছেন, বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই তারা সব জায়গায় এজেন্ট দিতে পারেনি, এর দায় অন্যরা কেন নেবে।
এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর