কাজী জেবেল ও নূর ইসলাম রকি, খুলনা থেকে: খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর বড় ব্যবধানে পরাজয়ের ঘটনায় আশাহত হয়েছেন দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
তাদের মতে, ভোটের দিন দলের সক্রিয় নেতাকর্মীদের মাঠে না থাকা, প্রশাসনের একরকম ‘নীরব ভূমিকায়’ ক্ষমতাসীনদের নির্বিঘ্নে অনিয়ম করাসহ অন্তত পাঁচ কারণে দলটির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভরাডুবি ঘটেছে।
অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেকের জয়ে উজ্জীবিত আওয়ামী লীগ। ভোটের পরদিন বুধবার দলটির কার্যালয়, বিভিন্ন নেতার বাসা ও অফিসে নেতাকর্মীদের ঢল নামে। দলটির নেতারা জানান, উন্নয়ন স্লোগান দিয়ে জনগণের মধ্যে সাড়া জাগানো ও সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে নামানোসহ মূলত চার কারণে দলীয় প্রার্থীর জয় হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এসব তথ্য। এদিকে নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ভোট পড়ার সংখ্যার দিক থেকে কেন্দ্রগুলোতে বড় ব্যবধান রয়েছে। এ নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে সর্বনিু ২২ দশমিক ৬৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
অপরদিকে আরেকটি ভোট কেন্দ্রে ৯৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। খালিশপুরের নয়াবাটী হাজী শরীয়ত উল্লাহ বিদ্যাপীঠ (মাধ্যমিক) কেন্দ্রে একটি বাদে সব ভোট পড়েছে; যা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। এছাড়া একটি কেন্দ্রে ৯৭ দশমিক ৬০ শতাংশ ও আরেকটিতে ৯১ দশমিক ৩৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।
তিনটিতেই নৌকা প্রতীকে বড় ব্যবধানে বেশি ভোট পেয়েছে। ভোট পড়ার এমন হার অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, ভোটের এ হার অস্বাভাবিক। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ ভোট পড়তে পারে। কিন্তু ৯০ ভাগ বা তার ওপরে ভোট পড়া অস্বাভাবিক। এ বিষয়টি অবশ্যই ইসির খতিয়ে দেখা উচিত।
ফল বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে গড়ে ৬২ দশমিক ১৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। ২৮৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯টিতে ৮০-৮৯ শতাংশ ও ৫৭টি ভোট কেন্দ্রে ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। তিনটিতে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে।
১১টিতে ৭৬-৭৯ শতাংশ ও ৩৭টিতে ৭০-৭৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। অনিয়মের কারণে তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। অপরদিকে ৫০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে ২০টি কেন্দ্রে। দু’শর বেশি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৫১-৬৯ শতাংশ।
এ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর চেয়ে ৬৫ হাজার ৬০০ ভোট বেশি পেয়েছেন খালেক। আর মঞ্জু পেয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ২৫১ ভোট।
এ নির্বাচনে মোট ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ ভোটের মধ্যে ৩ লাখ ৭১ হাজার ভোট পড়েছে। এর মধ্যে ভোট বাতিল হয়েছে ৬ হাজার ৫৬৫টি ও বৈধ ভোট ৩ লাখ ৬ হাজার ৬৩৬টি।
অন্য তিন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. মুজাম্মিল হক ১৪ হাজার ৩৬৩টি, জাতীয় পার্টির এসএম শফিকুর রহমান ১ হাজার ৭২টি ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাবু ৫৩৪টি ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী এ তিন মেয়র প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন।
নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী বলেন, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে স্ব স্ব প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ফল প্রকাশের পর আমার দফতরে জমা দিয়েছেন।
সেগুলো একত্রিত করে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনটি বাদে সব কেন্দ্রের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকায় সেগুলোর ফল প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এবারের খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নির্বাচনে জয়ের মধ্য দিয়ে সেই চ্যালেঞ্জে জিতেছেন তারা। এ নিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
তাদের মতে, অন্তত চার কারণে দলীয় প্রার্থীর জয় হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- উন্নয়ন স্লোগান দিয়ে জনগণের মাঝে সাড়া জাগানো, দলীয় প্রার্থী জয়ী করতে সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে নির্বাচনের মাঠে নামানো, প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা এবং প্রতিপক্ষের বিভেদ-বিভক্তি ও দুর্বলতা কাজে লাগানো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কোন্দল ছিল। গত নির্বাচনে তালুকদার আবদুল খালেকের পরাজয়ের পেছনে ওই কোন্দল কাজ করেছিল। এবার নির্বাচনে দলীয় হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপে ওই কোন্দলের কিছুটা হলেও অবসান হয়েছে।
প্রকাশ্যে কোনো নেতা তালুকদার আবদুল খালেকের বিরোধিতা করতে সাহস পাননি। বিভিন্ন মাধ্যমে স্থানীয় নেতাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এবার নির্বাচনে স্থানীয় উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরেছে আওয়ামী লীগ। এটি জনগণের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। জনগণ বুঝেছে, এ নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হবে না, খালেদা জিয়ার মুক্তিও হবে না। মানুষ বিএনপিকে ভোট দিলে উন্নয়নবঞ্চিত হবে।
দলীয় প্রার্থীর জয়ের কারণ প্রসঙ্গে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজি আমিনুল হক যুগান্তরকে বলেন, মানুষ সিটি কর্পোরেশন থেকে দৃশ্যমান উন্নয়ন পায়নি। তাই উন্নয়নের আশায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। তাকে জয়ী করতে আ’লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মী একযোগে কাজ করেছেন।
এছাড়া বিএনপির অনেক নেতাকর্মী ও কাউন্সিলর প্রার্থী দলটির মেয়র প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন না। তারাও নৌকার পক্ষে প্রচার করেছে। এটিও আমাদের জয়ে প্রভাব ফেলেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশাসনের সহায়তায় আমরা জয়ী হইনি। যদি তাই-ই হতো তাহলে নির্বাচনে ৬২ শতাংশ নয়, ৮০ শতাংশ ভোট পড়ত।
অন্যদিকে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, অন্তত পাঁচ কারণে দলীয় প্রার্থী ও মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর পরাজয় হয়েছে।
তারা বলেন, এ নির্বাচনে বিএনপি হারলেও দলটির নেতাকর্মীরা হতাশ নন, রাজনৈতিকভাবে তাদের জয় হয়েছে। আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, সেই প্রচারটি তারা সঠিকভাবে চালিয়েছেন। তবে তাদের আশা ছিল মঞ্জু অল্প ভোটের ব্যবধানে হলেও জয়ী হবেন।
কিন্তু সেই ফল না পেয়ে নেতাকর্মীরা মুষড়ে পড়েছেন। তাদের মতে, দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের কারণগুলো হচ্ছে- কেন্দ্রের নির্দেশ সত্ত্বেও দলের সক্রিয় নেতাকর্মীদের ভোটের দিন মাঠে না থাকা, ভোটগ্রহণে প্রশাসনের নীরব দর্শকের ভূমিকায় নির্বিঘেœ আ’লীগের অনিয়ম, স্থানীয় নেতাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, বিএনপি দলীয় বর্তমান মেয়রের ব্যর্থতা এবং নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক।
একাধিক নেতা জানান, ভোটগ্রহণের দিন বিএনপি ও ২০ দলীয় নেতাকর্মীদের মাঠে অবস্থান না করার ঘটনায় দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ঘটনায় দলীয় কোন্দলের বিষয়টি আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলেও মনে করছেন অনেকে।
তারা জানান, দলীয় হাইকমান্ড থেকে সব নেতাকর্মীকে মাঠে নামতে বলা হয়েছিল। কয়েকটি কেন্দ্রে নেতাকর্মীরা মাঠে ছিলেন। কিন্তু বেশিরভাগ কেন্দ্রে দলীয় নেতাকর্মীরা মাঠে ছিলেন না। তারা মাঠে থাকলে আওয়ামী লীগ ভোট কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারত না। আর কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিতে গেলে সহিংসতায় ভোট কেন্দ্র বন্ধ হতো। এতে বিএনপি লাভবান হতো।
তারা বলেন, ১৭নং ওয়ার্ডে কয়েকবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর বিএনপি থেকে কাউন্সিলর মনোনয়ন পাওয়া শেখ হাফিজুর রহমান নির্বাচনের মাঝপথে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। এ ঘটনায় মানুষের মধ্যে নেতিবাচক সাড়া ফেলে। যদিও তাকে পরে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
খুলনা মহানগরীর খালিশপুর অঞ্চলের একটি অংশের নেতৃত্ব দেন নগর বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও খালিশপুর থানার সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান মিঠু। তার সঙ্গে মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর বিরোধ পুরনো। এ নির্বাচনে ওই দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়েছে বলেও মনে করেন অনেকেই।
খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি ও মেয়র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের ধরপাকড় করা হয়েছে। এজেন্টদের কেন্দ্রে যেতে দেয়নি। এ কারণে ভোটের দিন নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ কেন্দ্রে কম ছিল। ভোট কেন্দ্রে মানুষের উপস্থিতি বেশি হলে ফল এমন হতো না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দলীয় কোন্দল দেখিনি। আমরা ধানের শীষ প্রতীক দেখেছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান শফিকুল আলম মনা মেয়র থাকায় সরকার বরাদ্দ দেয়নি। অনেক সময় তিনি জেলে ছিলেন। এ কারণে কাক্সিক্ষত উন্নয়ন করতে পারেননি। এতে ভোটে প্রভাব পড়েছে কি না বলতে পারব না।
ভোটে বড় ব্যবধান : ফল বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, খালিশপুরের নয়াবাঢী হাজী শরীয়ত উল্লাহ (বিদ্যাপীঠ) ভোট কেন্দ্রে ১ হাজার ৮১৭টি ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ৮১৬টি ভোট পড়েছে। একটি বাদে সবকটি ভোট পড়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক ১ হাজার ১১৪টি ভোট পেয়েছেন। অপরদিকে বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছেন ৩৭৩ ভোট।
এ কেন্দ্রে অন্য তিন মেয়র প্রার্থী মিলে পেয়েছেন মাত্র ৮২ ভোট। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোড়ল জাকির হোসেন যুগান্তরকে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা নিয়ে একেক ধরনের তথ্য দেন। পরে পুরো ফল তুলে ধরা হলে তিনি বলেন, সব ভোটার ভোট দিয়েছেন বলেই ৯৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। একই এলাকার মাওলানা ভাসানী বিদ্যাপীঠ কেন্দ্রে ১ হাজার ৫০৩ ভোটের মধ্যে ১ হাজার ৪৬৭ ভোট পড়েছে, যা মোট ভোটারের ৯৭ দমমিক ৬৭ শতাংশ।
এ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ৯৯৭টি ও বিএনপি ৩৯০টি ভোট পেয়েছে। নগরীর নতুনবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ৯১ দশমিক ৩৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ কেন্দ্রে ১ হাজার ৫০৮টি ভোটের মধ্যে ১ হাজার ৩৭৮টি ভোট পড়েছে। এখানেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।
নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, কোনো নির্বাচনে ৯০ শতাংশ ভোট পড়া অস্বাভাবিক। কারণ অনেক ভোটার বিদেশ থাকেন, অনেকেই কেন্দ্রে যান না। আবার অনেকেই নির্বাচনের দায়িত্বে থাকেন।
এছাড়া নয়টি ভোট কেন্দ্রে ৮০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। সেগুলো হচ্ছে- নয়াবাটী জনকল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ, নতুন বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮১ দশমিক ৬৩ শতাংশ, লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৮৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ, দারুল কোরআন সিদ্দিকীয়া কামিলা মাদ্রাসায় ৮০ দশমিক ১৬ শতাংশ, সরকারি এমএম সিটি কলেজ কেন্দ্রে ৮০ দশমিক ১৪ শতাংশ, ডি আলী ইসলামী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, একই প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত আরেক কেন্দ্রে ৮৩ শতাংশ, খুলনা আলিয়া মাদ্রাসায় ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ ও জাহাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮৮ দশমিক ৬২ শতাংশ ভোট পড়েছে।
এদিকে নিজভোট কেন্দ্রে হেরে গেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। নগরীর রহিমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মঞ্জু পেয়েছেন ৪১০ ভোট ও তালুকদার আবদুল খালেক পেয়েছেন ৫২৯টি ভোট।
এ কেন্দ্রের ১ হাজার ৬২৬টি ভোটারের মধ্যে ৯৮২টি ভোট পড়েছে, যা মোট ভোটারের ৬০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অপরদিকে তালুকদার আবদুল খালেক নিজ কেন্দ্রে জয় পেয়েছেন। তিনি পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন। এ বিদ্যালয়ে দুটি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। এ দুটিতে তিনি যথাক্রমে ৭৭০ ও ৫৭০টি ভোট পেয়েছেন। অপরদিকে মঞ্জু পেয়েছেন ২৬৮ ও ২৮৬ ভোট।
এ নির্বাচনে সবচেয়ে কম ২২ দশমিক ৬৫ শতাংশ ভোট পড়েছে খালিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ কেন্দ্রে ১ হাজার ৫৬৩টি ভোটের মধ্যে ৩৫৪টি পড়েছে। এর মধ্যে খালেক ২৪৮টি ও মঞ্জু ৮৫টি ভোট পেয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বনিু ৩৪ দশমিক ১৮ শতাংশ ভোট পড়েছে গোয়ালখালী সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে। এ কেন্দ্রে ২ হাজার ১টি ভোটের মধ্যে ৬৮৪টি ভোট পড়েছে। এতে আওয়ামী লীগ ৩৩৩টি ও বিএনপি ১৬৪টি ভোট পেয়েছে।-যুগান্তর
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস