খুলনায় পুকুর, খাল ও নদী খননের উদ্যোগ
সাইফুল ইসলাম, খুলনা প্রতিনিধি: খুলনায় ২শ’ ৪৮টি ভরাট পুকুর, মরা খাল ও নদী খননের উদ্যোগ নিয়েছে খুলনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। বর্তমানে চলছে ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজল (ডিপিপি) তৈরি আর মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে ২০১৬ গোড়ার দিকে শুরু হবে মূল খনন কাজ। এলজিইডি কর্মকর্তারা বলছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জলাধারগুলো দখলমুক্ত ও পুনরুজ্জীবিত হবে। পাশাপাশি চাষাবাদের মাধ্যম সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের সুযোগ। এছাড়া পুকুরের পানি মানুষ খাবারের কাজেও ব্যবহার করতে পারবেএলজিইডি সূত্র জানায়, প্রাকৃতিক কারণসহ নানাভাবে খুলনার বেশির ভাগ পুকুর, খাল, দিঘি ও নদীর মতো জলাশয়গুলো নাব্যতা হারাচ্ছেঅনেক জলাশয় ইতোমধ্যে ভরাটও হয়ে গেছে, এমন অবস্থায় খুলনার নয় উপজেলায় ২শ’ ৪৮টি পুকুর, খাল ও নদী খননের উদ্যোগ নিয়েছে খুলনা এলজিইডিজলাশয়গুলোর মধ্যে রয়েছে রূপসা উপজেলায় পুকুর ৪টি এবং মারা নদী ও খাল ১৯টি, পাইকগাছায় পুকুর ২টি, মরা নদী ও খাল ৪টি, তেরখাদায় মরা নদী ও খাল ১৮টি, পুকুর ৭টি, বটিয়াঘাটায় মরা নদী ও খাল ৬টি এবং পুকুর ৫টি, দিঘলিয়ায় পুকুর ১টি এবং মরা খাল ও নদী ১১টি, কয়রায় মরা নদী ও খাল ৫টি,ডুমুরিয়ায় মরা নদী ও খাল ১১টিএছাড়া প্রতিষ্ঠানের সামনে পুকুর রয়েছে
পাইকগাছায় ১৭টি, তেরখাদায় ৩টি, ফুলতলায় ৭টি, বটিয়াঘাটায় ৮টি এবং ডুমুরিয়ায় ২০টিসূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে সরকারী
পুকুর দিঘি, খাল ও নদী খনন প্রকল্পের আওতায় ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবেপ্রতি উপজেলার জন্য বরাদ্দ থাকবে ১০ কোটি
টাকাপ্রকল্পটি বাস্তবায়নে বর্তমানে চলছে ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রফোজল (ডিপিপি) তৈরিআর মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে ২০১৬ গোড়ার দিকে শুরু হবে
মূল খনন কাজখুলনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সিনিয়র উপ-সহকারী প্রকৌশলী জালাল আহমেদ জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জলাধারগুলো
দখলমুক্ত ও পুনরুজ্জীবিত হবে।পাশাপাশি চাষাবাদের মাধ্যম বেকারত্ব দূরীকরণসহ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।তিনি আরও বলেন পুকুরগুলোর
চতুরপাশে ওয়ার্কওয়ে ও ঘাট নির্মাণ করা হবে।ফলে মানুষ পুকুরের ওই পানি খাবার জন্য ব্যবহার করতে পারবে।ফলে নিরসন হবে দীর্ঘদিনের খাবার পানির
সংকট।
১২ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস
�