খুলনা থেকে : ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রবাহে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ফনি শুক্রবার সারা রাত বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার সৃষ্টি করতে পারে।
এছাড়া শনিবার পর্যন্ত এর প্রভাব থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশে ফণীর আঘাত হানার পর এর ভয়াবহতা কেমন হবে?
এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘূর্ণিঝড় আগেও বাংলাদেশে হয়েছিল। এর ফলে প্রাণহানি হয়েছিল। এছাড়া গাছপালা উপড়ে যাওয়া ও কাচা-বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।এই ঘূর্ণিঝড় ফনির ক্ষেত্রে এই ধরনের আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, ফনির প্রবাহে রাজধানীসহ সারা দেশে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এছাড়া কোথায় কোথায় বাঁধ ভেঙে গেছে। যেসব এলাকায় আমরা ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দিয়েছি ফণী সেসব এলাকায় প্রথমে আঘাত হানবে। এরপর খুলনা, সাতক্ষীরা, রংপুর ও রাজশাহী হয়ে উত্তরাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হবে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে খুলনায় শুরু হয়েছে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি। শুক্রবার দুপুরের পর থেকে আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢেকে যায়। কিছুক্ষণ মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার পর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। উপকুলীয় এলাকায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খুলনার কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছার মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। উদ্বিগ্ন মানুষ ছুটছেন আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে জেলার ৩২৫টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবেলায় সার্বক্ষনিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এছাড়া নৌকা, ট্রলারসহ ক্ষুদ্র নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
সেনা ও নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সব প্রস্তুতি নিয়েছে। দুর্যোগের সময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত শুকনা খাবার, ওষুধ ও জীবনরক্ষাকারী উপকরণের মজুদ নিশ্চিত করা হয়েছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, ফণীর অগ্রভাগের প্রভাবে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের থেকে বেড়েছে। এভাবে শুক্রবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড় খুলনা অতিক্রম করা পর্যন্ত বৃষ্টি চলতে থাকবে।