খুলনা থেকে : ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে খুলনার দাকোপ, কয়রা ও বটিয়াঘাটায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৯৯০টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। বাকি ৩ হাজার ৬৫০টি ঘর আংশিক বিধস্ত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়েছে। খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এছাড়া দাকোপ উপজেলায় রিংবাঁধ ভেঙ্গে দু’টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কয়রায় ঘোগড়া, হরিণখোলা এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফেণীর প্রভাব শেষ হতেই সাইক্লোন সেল্টারহোম থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে উপকূলের মানুষ। কয়রা সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, বাতাসের গতিবেগ কমে আসতেই বীনাপানি স্কুল কেন্দ্র, গোলখালি, জোড়সিং সাইক্লোন শেল্টার থেকে মানুষজন বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, কয়রার বেশ কয়েকটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ এখনো ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোন সময় বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা বাঁধ মেরামতে কাজ করছেন।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সময় ৩৫০টি শেল্টারহোম ও ৫শ’র বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২ লাখ ৫২ হাজার মানুষ আশ্রয় নেয়। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সাড়ে ৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি মোকাবেলায় কাজ করছেন।
খুলনা নেভাল এরিয়া কমান্ডার কমডোর এম মোজাম্মেল হক জানান, ঘুর্ণিঝড় পরবর্তী জরুরী উদ্ধার, ত্রান ও চিকিৎসা সহায়তায় নৌবাহিনীর ৩২টি জাহাজ প্রস্তুত রয়েছে। এরই মধ্যে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বরগুনা দুর্গত এলাকায় নৌবাহিনীর ৪টি জাহাজ জরুরী ত্রান বিতরণে কাজ করছে। নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রায় দুই হাজার পরিবারের তিনদিনের শুকনা খাবার সরবরাহ করা হবে।