খুলনা থেকে : বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা নিতে ভারতে যাওয়া এক বাংলাদেশি নারীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি পাসপোর্ট, সোনার গয়না কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে অশোকনগর থানার দ্বারস্থ ওই বাংলাদেশি পরিবারটি।
জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে মাস তিনেকের ভিসা নিয়ে প্রায় দেড় মাস আগে স্বামী শিবানন্দ বাছার ও তাদের ছোট্ট মেয়ে এবং শ্বশুর শাশুড়িকে নিয়ে ভারতে যান পল্লবী মন্ডল নামে এই গৃহবধূ। বাংলাদেশের খুলনা জেলার বোটেঘাটা থানার হেতালবনিয়া এলাকার বাসিন্দা তারা।
ভারতে তাদের যেসব পরিচিত আত্মীয়-স্বজন রয়েছে তাদের হাত ধরেই অশোকনগর থানার গুমার স্বপন বিশ্বাসের সাথে তাদের পরিচয় হয়। এরই সূত্র ধরে স্বপন বিশ্বাসের বাড়িতে একটি ঘর মাসিক ১৫০০ টাকার বিনিময়ে তারা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন।
চিকিৎসা করাতে আরো টাকার প্রয়োজন হওয়ায় শিবানন্দ বাবু একা গত মাসের ১৮ তারিখ বাংলাদেশ ফিরে আসেন। তবে স্ত্রী, সন্তান এবং মা -বাবাকে রেখে গিয়েছিলেন এই ভাড়া বাড়িতে। স্বামী বাংলাদেশে থাকার সময় স্ত্রী পল্লবী মন্ডল সমস্ত ঘটনার কথা তাকে ফোন করে যানায়। শোনা মাত্রই তিনি ভারতে চলে আসেন।
পল্লবী মন্ডলের অভিযোগ, বাড়িওয়ালা স্বপন বিশ্বাস স্বামী না থাকার সুযোগে তাকে কুপ্রস্তাব দেন এবং হেনস্থা করেন। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মোটা অংকের টাকা ধার নেওয়া হয়েছে এমনটা দেখিয়ে জোর করে একটি কাগজে গৃহবধূর কাছ থেকে জোরপূর্বক সই করিয়ে নেন অভিযুক্ত। এবং চারজনের পাসপোর্ট এবং একটি সোনার চেইন ও মোবাইল নিয়ে নেন স্বপন বিশ্বাস।
গোটা ঘটনায় গৃহবধূ বাংলাদেশ যাওয়া তার স্বামীকে জানান। এরপর স্বামী ভারতে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। গত শনিবার ঘটনা ঘটলেও মঙ্গলবার রাতে এলাকার কিছু মানুষের সহযোগিতায় অভিযুক্ত স্বপনের নামে অশোকনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বাংলাদেশ ওই পরিবারটি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে অশোকনগর থানা।