নিউজ ডেস্ক : ২০১১ সালে মিসর থেকে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমায় একটি তীন ফলের গাছ এনেছিলেন আবু মুহাম্মদ আসসাওয়াদফি আল ফিকাহ নামের এক ব্যক্তি। শখের বসে আনা সেই গাছটি জলমার দাওহাতুল খাইর কমপ্লেক্স পরিচালিত সোসাইটি অব সোস্যাল রিফর্ম স্কুলের আঙ্গিনায় রোপণ করা হয়। দাওহাতুল খাইর কমপ্লেক্স এর পরিচালক সুফি সালাইমান মাসুদ গাছটি রোপণ করেন।
ধারণা করা হয়েছিল মরুভূমির এই গাছ বাংলাদেশের মাটিতে টিকবে না। কিন্তু সবার ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে গত ৮ বছরে তরতর করে বড় হয়েছে গাছটি। ফলও ধরেছে এর। স্থানীয়দের দাবি, এ গাছ বাংলাদেশে এই একটিই আছে। গত কয়েক বছর ধরেই গাছটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোক ছুটে আসছেন।
এর কারণ এই সেই তীন গাছ যার নামে পবিত্র কোরানে একটি সূরাই নাযিল হয়েছে। এই তীনের নামে মহান আল্লাহ তায়ালা শপথও করেছেন।
তাই মুসলমানদের কাছে এই তীন গাছ ও এর ফল একটু ভিন্ন অর্থ বহন করে।
সোসাইটি অব সোস্যাল রিফর্ম স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, তীন গাছকে দেখতে অনেকেই আসছেন। বিশেষকরে যখন ফল ধরে তখন স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাসহ দশনার্থী বেড়ে যায়।
উল্লেখ্য, কোরআনের ৩০তম পারার ৯৫ নম্বর সূরার প্রথম আয়াত وَالتِّينِ وَالزَّيْتُونِ ‘ওয়াত্তীনি ওয়াযাইতূনি। বর্ণিত সূরায় আল্লাহতায়ালা তীন গাছের নামে শপথ করেছেন।
সূরার প্রথম শব্দ তীন অনুসারে এ সূরার নামকরণ করা হয়েছে- সূরা আত-তীন। তীনের বাংলা অর্থ আঞ্জীর বা ডুমুর। মধ্যপ্রাচ্য এবং পশ্চিম এশিয়ায় এ ফলের উৎপাদন বাণিজ্যিকভাবে করা হয়।
সৌদি, কুয়েত, মিসরসহ আফগানিস্তান থেকে পর্তুগাল পর্যন্ত এই ফলের বাণিজ্যিক চাষ হয়ে থাকে। দাওহাতুল খাইর কমপ্লেক্স এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা সানোয়ার হুসাইন বলেন, খুলনার আবহাওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের এই গাছটি অন্যান্য গাছের মতোই বেড়ে উঠেছে। গাছটিতেও ফলও ধরেছে। গাছটির ফল আমি খেয়েছি। এটি অনেক সুস্বাদু। ফলের আকার ডুমুরের চেয়ে বড়, খেতে মিষ্টি ও রসালো বলে জানান তিনি। সূত্র : যুগান্তর।