সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা থেকে : দেশের বহুল আলোচিত ফাঁসির দণ্ডাদেশ কার্যকর হওয়া ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী খুলনার এরশাদ শিকদারের নামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে। খুলনা মহানগরীর ৫ নম্বর ঘাট এলাকার রেলওয়ে জমির ওপর বিদ্যালয়টির অবস্থান।
স্থানীয়রা কয়েকদফা চেষ্টা করেও বিদ্যালয়টির নাম বদলের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু নাম পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে। ভয়ঙ্কর এই খুনির নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগে থেকেই হিনমন্যতা কাজ করছে।
জানা যায়, রেলওয়ের ৪৯ শতক জমির ওপর ১৯৮৯ সালে ‘এরশাদ আলী প্রাথমিক বিদ্যালয়’ নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি বিদ্যালয়টি রেজিস্টার্ড বিদ্যালয়ে পরিণত হয়। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে ১ জানুয়ারি সরকারিকরণ হলে স্কুলটির নাম হয় ‘এরশাদ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। বর্তমানে এখানে ২৪৬ জন শিক্ষার্থী ও চারজন শিক্ষক রয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় স্কুলের একতলা ভবনের গায়ে বড় বড় অক্ষরে ‘এরশাদ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ নাম লেখা। তবে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে প্রতিষ্ঠাকালীন ১৯৮৯ সালে এরশাদ শিকদারের দেওয়া স্টিলের আলমারির ওপর সাদা রং দিয়ে তার নাম মুছে ফেলা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শওকত আলী বলেন, ২০০১ সালে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে তৎকালীন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার লবী স্কুলটির নাম পরিবর্তনের দাবি করলেও পরে বিষয়টি আর সামনে এগোয়নি।
খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পারভীন জাহান জানান, স্কুলের নাম পরিবর্তন করতে হলে সরকারি কোষাগারে আনুমানিক ৩ লাখ টাকা জমা দেওয়ার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে আবেদন করতে হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ১০ মে মধ্যরাতে খুলনা কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ভয়ঙ্কর এই খুনি এরশাদ শিকদারের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। -বিডি প্রতিদিন
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস