এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ইসলামী ব্যাংকের খুলনা জেলার ফুলতলা শাখার স্টোর কক্ষে এক গ্রাহকের চোখ ও মুখ বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এবং প্লাস দিয়ে নখ উঠানোর অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির নাম সাইফুল্লাহ হাজেরী (৩৫)। তিনি পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে, এ ঘটনায় ফুলতলা থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ তিন ব্যাংক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তাররা হলেন আশিক, মিজান এবং মামুন। তারা ইসলামী ব্যাংক ফুলতলা শাখার কর্মকর্তা।
ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জেল্লাল হোসেন বলেন, নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন ইস্টার্ন গেট এলাকায় ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকের মালিক মেসার্স হাজেরী এন্টারপ্রাইজ।
ওই এজেন্ট ব্যাংকটি পরিচালনা করতেন এ এইচ এম শফিউল্লাহ হাজেরীর ছেলে সাইফুল্লাহ হাজেরী। তিনি দুজন কর্মচারী নিয়ে ওই এজেন্ট ব্যাংকটি পরিচালনা করতেন। এজেন্ট ব্যাংকের ওই দুই কর্মচারী ব্যাংকে টাকা জমা না দিয়ে বিশাল অংকের টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় সাইফুল্লাহ হাজেরীকে ব্যাংকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
পরে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার(২৪ জুলাই) থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর মামা।
তিনি আরো বলেন, ঘটনাটি ব্যাংকে হওয়ায় আমরা তিনজন ব্যাংক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছি।
ইসলামী ব্যাংক খুলনা জোনের জেনারেল ম্যানেজার ইমামুল বারী বলেন, বিষয়টি আমরা মঙ্গলবার রাতে জেনেছি। হাসপাতাল এবং সংশ্লিষ্ট শাখায় আমাদের লোক পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।