এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : খুলনায় সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরছে না কিছুতেই। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী বাজারে হাতেগোণা কয়েকটি সবজির দাম কমলেও তা ক্রেতাদের জন্য নাগালের বাইরে। চড়া বাজারে সপ্তাহ ব্যবধানে সামুদ্রিক ও নদীর মাছের দামও বেড়েছে কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) খুলনার নিউ মার্কেট কাঁচা বাজার, নতুন বাজার গল্লামারি ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে সব ধরনের সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও গত এক সপ্তাহে দুয়েকটি বাদে কোনো সবজির দাম কমেনি। লাউ ও পেঁপে ছাড়া ৭০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজিই। বর্তমানে বেগুন প্রতি কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া ঝিঙে ৮০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, বরবটি ৯০ টাকা, পেঁয়াজ ৮০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ১৬০-২০০ টাকা কেজিতে বেচাকেনা হচ্ছে। সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে টমেটো ১৮০ ও ফুলকপি ২৫০ টাকা কেজি। তবে কিছুটা স্বস্তি দেখা গেছে লাউ ও পেঁপে বাজারে। প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা ও প্রতি কেজি পেঁপের জন্য গুনতে হচ্ছে অন্তত ৩৫ টাকা।
নতুন বাজারে বাজার করতে আসা গৃহিণী শামীমা বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে আশা করি দাম কমবে, কিন্তু হতাশ হয়ে বাজার থেকে ফিরতে হয়। সবকিছুর দাম এখনও বেশি।’
জালাল উদ্দিন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ‘৭০ টাকার নিচে কোনো সবজিই পাওয়া যায় না। অল্প কিছু কিনলেও ৫০০ টাকার বেশি খরচ হয়ে যায়। বাজার তদারকি বাড়ানো প্রয়োজন।’
বিক্রেতা আব্দুল বারেক বলেন, ‘গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা দাম কমেছে, তবে আরও কমে যাওয়ার কথা ছিল। আমরা আড়ত থেকে কিনে বিক্রি করি, কেজি প্রতি ৫–১০ টাকা লাভ হয়। আশা করছি সামনের সপ্তাহে দাম কিছুটা কমবে।’
সবজির বাজারের তুলনায় মাছের বাজারে দাম আরও বেশি। সামুদ্রিক ও নদীর মাছের দাম সপ্তাহে ৩০-৫০ টাকা বেড়েছে। ট্যাংরা ও পারশে মাছ কেজি প্রতি ৬০০-৮০০ টাকা, রুই ও কাতলা মাছ ৩০০ টাকা, জাটকা ইলিশ ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর বড় ইলিশের দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে, এক কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২১০০-২২০০ টাকায়।
রূপসা মাছ বাজারের বিক্রেতা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মাছের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে, তবে চাহিদার তুলনায় কম। জেলেরা গত সপ্তাহে গভীর সমুদ্রে যেতে পারেনি। কয়েকদিনের মধ্যে সরবরাহ বাড়বে, দাম কিছুটা কমবে।’