এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : খুলনায় সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করলেও মাছ ও মাংসের বাজারে দাম এখনো চড়া। বিশেষ করে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে। সরবরাহ কমানোর অজুহাত দেখিয়েই বিক্রেতারা মাছের দামও বাড়াচ্ছেন। বাজারে কমে গেছে ইলিশের সরবরাহও।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) খুলনার নতুন বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজার ও জোড়াকল বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
মুরগির বাজারে কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহে ১৬০ টাকা ছিল। সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে; গত সপ্তাহে ২৬০ টাকা কেজি হলেও শুক্রবার তা ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিক্রেতারা চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমের কথা বললেও বাজারে সব দোকানেই পর্যাপ্ত মুরগি দেখা গেছে। নতুন বাজারের বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করেই চাহিদা বেড়ে গেছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির। এ কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে। দুর্গাপূজার কারণে মুরগির চাহিদা আরও বাড়তে পারে।
মুরগি কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে যদি দাম বাড়তে থাকে, তাহলে তো মুরগি খাওয়াও বাদ দিতে হবে। গরু-মাংস বা ভালো মাছ কিনতে পারছি না, এখন যদি মুরগিও না পাই, তাহলে কী খাবো?'
এদিকে গরুর মাংসের দাম স্থিতিশীল থাকলেও খাসির মাংসের দাম বেড়েছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৭৫০ টাকা, আর খাসির মাংস প্রকারভেদে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত।
মাছের বাজারেও দাম বাড়ছে। চাহিদা থাকলেও ইলিশের সরবরাহ কমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, রফতনির প্রভাব পড়েছে বাজারে। এ কারণে মাঝারি আকারের ইলিশ বাজারে কম পাওয়া যাচ্ছে।
বাজারে এক কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৩০০-২৪০০ টাকা কেজি দরে। ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশের দাম ১৭০০-১৮০০ টাকা কেজি। বাজারে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে ৪-৫টি ইলিশ মিলিয়ে এক কেজি করা, যা ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া রুই মাছ আকারভেদে কেজি প্রতি ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, এক কেজি বা তার চেয়ে বড় ভেটকি মাছ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, এক কেজির কম ভেটকি মাছ ৬০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি দেখা গেছে। লাউ বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি ঝিঙে ৮০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, বরবটি ৯০ টাকা ও পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়।