এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : খুলনায় মাছের বাজারে কিছুতেই স্বস্তি ফিরছে না। মুরগির বাজারেও গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। তবে সবজির সরবরাহ বেড়ে দাম কিছুটা কমায় স্বস্তি দেখা গেছে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) খুলনার নতুন বাজার, জোড়াকল বাজার ও মিস্ত্রিপাড়া বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
সমুদ্রে সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার কারণে বাজারে ইলিশ নেই। তবে চাষের রুই, ভেটকি, পাঙাশ, তেলাপিয়া, পাবদা ও চিংড়ির সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও দাম বেড়েছে। রুই, তেলাপিয়া, পাবদা, কই, শোলসহ অন্যান্য মাছের দাম কেজি প্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।
বিশেষ করে ভেটকি ও চিংড়ির দাম সবচেয়ে বেশি। এক কেজি ওজনের ভেটকি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০০ টাকা। চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজি দরে। রুই মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে।
বিক্রেতারা বলছেন, সামুদ্রিক মাছ না থাকায় অন্য মাছের ওপর চাহিদা বেড়ে দামও বেড়েছে। নতুনবাজারের মাছ বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইলিশ না থাকায় এখন চাহিদা বেড়েছে অন্য সব মাছের ওপর। পাইকারি বাজার থেকেই মাছ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
ক্রেতাদের অভিযোগ, অযৌক্তিক কারণে প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে মাছের দাম। আলতাফ হোসেন নামে এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এভাবে প্রতি সপ্তাহে যদি দাম বাড়ে, তাহলে বাজার করা কঠিন হয়ে যাবে।’
জোড়াকল বাজারের নাজমা খাতুন বলেন, ‘প্রতিদিন বাজারে এলে দেখি দাম আরও বেড়ে গেছে। এক সপ্তাহ আগে যে রুই মাছ ৪০০ টাকায় কিনতাম, আজ সেটি ৪৫০ টাকার নিচে নেই। সাধারণ মানুষ এখন মাছ কিনতে ভয় পাচ্ছে।’
মাংসের বাজারেও দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি প্রতি দাম বেড়ে ১৮০ টাকা হয়েছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম বেড়ে ২৮০ টাকা কেজি, যা আগে ২৬০ টাকা ছিল।
সবজির মধ্যে কিছু দামে স্বস্তি দেখা গেলেও অধিকাংশ সবজি আগের সপ্তাহের মতোই দামে বিক্রি হচ্ছে। লাউ প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৬০ টাকা। এছাড়া ঝিঙে ৮০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, বরবটি ৯০ টাকা ও পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।