এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় কিছু কিছু সবজির দাম সামান্য কমলেও, বেশিরভাগের দামই ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষ করে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম ও মুলার দরে হতাশা প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে বাজারে এখনও কমেনি পেঁয়াজের দাম।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) খুলনার নতুন বাজার, জোড়াকল বাজার ও মিস্ত্রিপাড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজির মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরবরাহ রয়েছে ফুলকপির। গত সপ্তাহের তুলনায় ফুলকপির দাম প্রতি কেজি ২০ টাকা কমে ৮০ টাকা হয়েছে।
তবে কমেনি শিমের দাম। গত সপ্তাহের মতোই চলতি সপ্তাহে কেজি প্রতি শিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এছাড়া বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। তবে কিছুটা কম দাম মুলার। বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে।
অন্যান্য সবজির মধ্যে প্রতি কেজি করলা ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, কাঁকরোল ও ঝিঙে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা ও টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হাতেগোনা কয়েকটি সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কম হলেও অন্যান্য সবজির দাম নিয়ে সন্তুষ্ট নন ক্রেতারা। বাজারে ঘুরে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেছে। তাদের দাবি, শীতকালীন সবজির মৌসুম শুরু হওয়ায় এই সময় দাম অনেক কম থাকার কথা। জোড়াকল বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখন বাজার শীতকালীন সবজিতে ভরে গেছে, তবুও দাম কমে না, তাহলে আর কবে কমবে? শুধু সবজি কিনতে গিয়ে পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।’
তবে বিক্রেতারা বলছেন, আগামী সপ্তাহে শীতকালীন সবজির সরবরাহ আরও বাড়লে দাম কিছুটা কমবে। জোড়াকল বাজারের সবজি বিক্রেতা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, এখনো সরবরাহ পুরোপুরি বাড়েনি। মাঠ থেকে বেশি পরিমাণে সবজি আসতে শুরু করলে দাম আরও কমে আসবে। সম্ভবত আগামী সপ্তাহ থেকে বাজার স্থিতিশীল হবে।
এদিকে বাজারে এখনো চড়া দরেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। গত দুই সপ্তাহ ধরে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম বাড়তি। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা দুই সপ্তাহ আগে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজে দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বাজারে চাহিদা অনুযায়ী পেঁয়াজের সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে। ডিসেম্বর মাসে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসবে। তার আগে দাম কমার সুযোগ নেই। তবে সরকার যদি পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে দাম কমতে পারে।
বিক্রেতা আব্দুল খালেক মোড়ল বলেন, ডিসেম্বরে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ এলে দাম কমতে পারে। তার আগে দাম কমার সুযোগ নেই। সরকার যদি আমদানি বাড়ায়, তাহলে হয়ত কিছুটা স্বস্তি ফিরবে।