নিউজ ডেস্ক: মহান বিজয় দিবসে জু'তা পা'য়ে শহীদ বে'দিতে উঠে পুষ্পার্ঘ্য অর্প'ণ করেছেন উলিপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবু তাহের। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষু'ব্ধ প্র'তিক্রি'য়ার সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার সকালে কুড়িগ্রামের উলিপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ চত্বরে শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে উপস্থিত লোকজন তাকে পি'টুনি দেন। পরে তাকে উ'দ্ধার করে উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় বলে জানিয়েছেন কলেজের হিসাব রক্ষক শামসুল আলম।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, সকাল ৮টার দিকে অধ্যক্ষ আবু তাহের তার সহকর্মীদের নিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্প'ণ করতে যান। এসময় তিনি জুতা পায়ে পুষ্পার্ঘ হাতে নিয়ে শহীদ মিনার বে'দীতে উঠেন। তখন তার সহকর্মীরা জুতা খুলে উঠতে বললেও, তিনি জুতা খুলতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ উঠে।
ঘটনার সময় অনেকেই অধ্যক্ষের জুতা পায়ের ছবি নিজ নিজ ক্যামেরায় তুলে সামাজিক যোগাযোগা মাধ্যমে পোস্ট করেন। মু'হূ'র্তেই ফেসবুকে ছবি ভা'ইরা'ল হয়ে যায়। অনেকে অধ্যক্ষকে রাজাকার বলে মন্তব্যও করতে থাকেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আবু তাহের জুতা পায়ে শহীদ বেদীতে ওঠার কথা স্বীকার করলেও প্রশ্ন ছু'ড়ে দিয়ে বলেছেন, অজান্তেই জুতা পায়ে বেদীতে উঠেছি। তাতে আপনাদের কেন সমস্যা হচ্ছে, একথা বলেই তিনি ফোনের সংযোগ কে'টে দেন।
এ ব্যাপারে উলিপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ সরকার ক্ষু'ব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে বলেন, নিশ্চয়ই তার (অধ্যক্ষ) বংশে রাজাকারের র'ক্ত বইছে। তা নাহলে এমন করার কথা নয়। তিনি অবিলম্বে অধ্যক্ষের অপসারণ ও বিচার দাবি করেন।
একই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন মন্টু বলেন, এটা শহীদদের প্রতি চ'রম অব'মান'না। আমি তার এমন আচরণের নিন্দা জানাই। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই।
কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এম এ মতিন বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না, তাদের কোনো না কোনো কর্মের মধ্য দিয়ে সেই চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এ ঘটনার নি'ন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই। অবশ্যই তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া উচিত।