রবিবার, ২৬ জুন, ২০২২, ০১:৪২:২৫

মাত্র ছয় মাসে কোরআন মুখস্থ করল থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত সিয়াম

  মাত্র ছয় মাসে কোরআন মুখস্থ করল থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত সিয়াম

এমটি নিউজ ডেস্ক : মাত্র ছয় মাসে পবিত্র কোরআন মাজিদ মুখস্থ করে হাফেজ হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার মো. মাহিন হাসান সিয়াম (১৪) নামের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।

সিয়াম উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মহিধর গ্রামের শিক্ষক মো. ইউসুফ আলী বাবুর ছেলে। সে জন্মগতভাবে থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত।

মাহিন শুধু মাদরাসাশিক্ষায় সুনাম অর্জন করেনি, স্কুলেও সে তার অসামান্য মেধার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। পড়াশোনায় অন্যদের চেয়ে এগিয়ে আছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিয়াম চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট। স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি মা-বাবার স্বপ্নপূরণে সিনাইহাট বড়গ্রাম ইকরা দারুস সালাম নুরানি ও হাফেজিয়া মাদরাসায় কোরআন মাজিদ শিক্ষায় নাম লেখায়। শারীরিক অসুস্থতা থাকা সত্ত্বেও প্রবল ইচ্ছা আর হাফেজ হওয়ার স্বপ্নে মাত্র ছয় মাসে কোরআন মুখস্ত করে সে।

এ বিষয়ে কথা হয় মাহিন হাসান সিয়ামের সঙ্গে। সে বলে, আল্লাহ তায়ালা আমাকে কোরআন মাজিদ দান করেছেন এবং তা মুখস্থ করার তৌফিক দান করেছেন। আমি প্রতিদিন হুজুরকে নিম্নে ৭ ও সর্বোচ্চ ১০ পৃষ্ঠা সবক দিতাম। এভাবে প্রতিদিন পড়ে আমি মাত্র ছয় মাসে কোরআন মাজিদ মুখস্থ করেছি।

সে আরও বলে, মাঝেমধ্যে আমি অসুস্থ ছিলাম। তারপরও পড়া বন্ধ করিনি। আমি এখন কুড়িগ্রাম কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ছি। আমার রোল নং ৩।

সিয়ামের বাবা ইউসুফ আলী বাবু বলেন, সিয়াম শিশুকাল থেকেই থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত। নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হয়। তারপরও আল্লাহ পাক তাকে যে মেধা দিয়েছেন, আমি ভাগ্যবান। সে স্কুলে লেখাপড়ার পাশাপাশি মাত্র ছয় থেকে সাত মাসে কোরআন মাজিদ মুখস্থ করছে। সৃষ্টিকর্তা তাকে যেন সুস্থ রাখেন, এটাই দোয়া করি।

সিনাইহাট বড়গ্রাম ইকরা দারুস সালাম নুরানি ও হাফেজিয়া মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মো. তৈয়ব আলী বলেন, সিয়াম খুবই ভালো ছাত্র। আমার ২৫ বছর শিক্ষকতা জীবনে তার মতো মেধাবী দেখিনি। আল্লাহ তায়ালা তাকে মেধা দিয়েছেন। মাত্র ছয় মাসে সে কোরআন মুখস্থ করে ফেলেছে। তার জন্য দোয়া করি। সে আরও ভালো কিছু করবে ইনশাআল্লাহ।-ঢাকা পোস্ট

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে