এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার পৌরসভা এলাকায় এক নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই নারীর নাম লতা রানী (৪০)। এই ঘটনায় স্বামী সত্য চন্দ্র শীল (৪৫) জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপ কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, রোববার (২১ জানুয়ারি) ভোরে ওই গৃহবধূকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
নাগেশ্বরী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রতিবেশী শামসুল হক জানান, নিহত লতা রানী স্বামীর সঙ্গে গতকাল একই ঘরে ছিলেন। রাত ৩টার দিকে ওই কক্ষ থেকে অস্বাভাবিক আওয়াজ শুনে পাশের কক্ষে থাকা তার ছোট ছেলে সাগর (১৭) জেগে ওঠে এবং দেখতে যায় কী হয়েছে। এরপর সাগর দেখতে পায় তার মায়ের গলাকাটা মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে এবং মরদেহের পাশে তার বাবা সত্য চন্দ্র শীল দাঁড়িয়ে আছেন। তখন বাবা-ছেলের বাগবিতণ্ডায় পরিবারের বাকি সদস্যরা জেগে ওঠে। এরপর জানাজানি হলে এলাকাবাসী ওই বাড়িতে ভিড় করে। সেই সুযোগে লতার স্বামী পালিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ১ বছর আগে থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ ছিল। এর মধ্যে নিহত লতা রানী স্বামীকে না জানিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকা ঋণ করেন। সেই ঋণ পরিশোধের জন্য কিছু জমি বিক্রি করেছেন লতা রানী। এছাড়াও ঋণ পরিশোধে লতা রানী ঢাকায় গিয়ে কাজ করতে চাইলে সেখানে সম্মতি ছিল না স্বামীর। হঠাৎ করে এমন ঘটনায় হতভম্ব এলাকার সবাই।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপ কুমার সরকার জানান, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সকল আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি চলমান।