এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : অবশেষে স্বস্তির খবর! কুড়িগ্রামের স্থানীয় বাজারগুলোতে পেঁয়াজ ও মরিচের দাম কিছুটা কমেছে। দীর্ঘ সময় ধরে ঊর্ধ্বমুখী থাকা এই দুটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমায় সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। তবে আদা, রসুনসহ অন্যান্য মসলা ও সবজির দাম এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে জিয়া বাজারের পাইকারি আড়তগুলোতে দেখা যায়, পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে ১০ টাকা কমে এখন ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগেও যা ছিল ৭০ টাকা। অন্যদিকে, খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। একইভাবে, মরিচের দামও কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। কেজিতে ৬০ টাকা কমে এখন পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে, আর খুচরা বাজারে ১৩০ টাকা।
তবে আদা আগের দামেই (১৪০ টাকা কেজি) এবং রসুন ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ-মরিচের দাম কমায় ক্রেতারা দারুণ খুশি। ক্রেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “সপ্তাহখানেক আগেও পেঁয়াজ-মরিচের দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে ছিল। বাজারে গেলে দাম শুনে ভয় লাগতো। গত কয়েক দিনে দাম কমায় বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।”
একইভাবে রিকশাচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, “মাঝে মধ্যে হঠাৎ করে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। পেঁয়াজ-মরিচের আমদানি সমস্যা নাকি পাইকারি বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ায়, কিছুই বুঝি না। এখন দাম কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। তবে দাম বাড়লে আমাদের মতো নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য খুব কষ্ট হয়ে যায়।”
এ প্রসঙ্গে জিয়া বাজারের পাইকারি বিক্রেতা মোফাচ্ছের ও আব্দুর রহিম জানান, “এলসি বন্ধ থাকায় গত রবিবারও পেঁয়াজের পাইকারি দাম ছিল ৩৫০ টাকা পাল্লা (৫ কেজি)। এলসি পেঁয়াজ আসাতে গতকাল থেকে ৩০০ টাকা করে বিক্রি করছি। মূলত এলসির কারণেই দাম ওঠানামা করে।”
মরিচ বিক্রেতা আব্দুল খালেক বলেন, “বাজারে এলসি মরিচ আসার কারণে দাম অনেক কমেছে। গত সপ্তাহে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। আজকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। দাম কমাতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। ক্রেতারা খুশি থাকলে আমরাও খুশি।"
বাজারের সবকিছুর দাম আহামরি বৃদ্ধি না পাওয়ায় ক্রেতাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তারা মনে করেন, কোনো জিনিসের দাম যাতে কৃত্রিমভাবে বৃদ্ধি না পায় কিংবা সিন্ডিকেট করে কেউ বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি রাখা প্রয়োজন।