কুষ্টিয়া : একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে পাকিস্তানের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, আইনের বিধান অনুযায়ী আত্মস্বীকৃত চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ হাতে নেয়া হয়েছিল। সারাবিশ্ব এ বিষয়টিকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু পাকিস্তান এবং কতিপয় রাষ্ট্র এ ব্যাপারে বিভিন্ন রকম মন্তব্য ও বিবৃতি দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে।
মঙ্গলবার মিরপুরের গোবিন্দপুর তাঁতিবন্ধ সড়ক নির্মাণকাজের উদ্ধোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধী মীর কাশিম আলীর পক্ষে দরদ দেখিয়ে পাকিস্তান আবারো প্রমাণ করলো গণহত্যা, গণনির্যাতন এবং যুদ্ধাপরাধের পুরনো খাছিলত তাদের এখনো বদালায়নি।
ইনু বলেন, পাকিস্তান প্রমাণ করেছে মীর কাসেম আলী তাদের রক্তের ভাই, তাদের সর্ম্পক অটুট আছে, কোনো ফাটল ধরেনি।
তিনি বলেন, তারা এখনো গণহত্যা, একাত্তরের যুদ্ধ সম্পর্কে অনুতপ্ত নয়। বলা যায়, পাকিস্তান বদলায়নি, তাদের খাছিলতও বদলায়নি। তারা এখনো সন্ত্রাস লালন এবং রফতানি করছে।
তথ্যমন্ত্রী ইনু বলেন, পাকিস্তানকে পৃথিবীর গণতন্ত্রের ক্লাবে থাকতে হলে সন্ত্রাস লালন এবং রফতানির বদ অভ্যাস পরিহার করতে হবে।
তুরস্কের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের মন্তব্য অনভিপ্রেত। মন্তব্য করার আগে তুরস্কের উচিত বাংলাদেশের ইতিহাস পড়ে নেয়া। তাহলেই তারা এ ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে পারবে।
ইনু বলেন, জামায়াত নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আদালতে মামলা করার মধ্যদিয়ে আটকে আছে। বিষয়টি আদালত নিষ্পত্তি করবে। তারা রাজনীতি করতে পারবে কি পারবে না- আদালতের রায়ের পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
হাসানুল হক ইনু বলেন, নির্বচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে দিয়েছে। সুতারং জামায়াত দলগতভাবে আর নির্বাচন করতে পারছে না।
এসময় জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৬ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম