নিউজ ডেস্ক: মা। হ্যাঁ, এজন্যই তো তিনি মা। তলিয়ে যাচ্ছেন নদীর অথৈ পানিতে, নিশ্চিত মৃত্যু। কিন্তু শেষ মুহূর্তেও চেষ্টা সন্তানকে বাঁচানোর। এ চেষ্টায় 'মা তানজিলা খাতুন' (৩৫) সফল।
তবে দুনিয়ার তাবৎ মায়েদের প্রতিনিধিত্বকারী এই নারী নিজেকে বাঁচাতে পারেননি। হয়তো শিশুপুত্রকে বাঁচিয়ে রাখার শেষ চেষ্টায় নিজের জীবনের কথা চিন্তায়ও আনেননি মা তানজিলা।
শনিবার রাতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের আবেদেরঘাট এই হৃদয়বিদারক নজিরের সাক্ষী হয়ে থাকল। নৌকা ডুবে মারা যান প্রাগপুর ইউনিয়নের বিলগাথুয়া গ্রামের প্রবাসী জামিল উদ্দীনের স্ত্রী তানজিলা। কিন্তু অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় তার চার বছরের শিশুপুত্র।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, রাত ৮টার দিকে পদ্মার ভাটিতে আবেদেরঘাট এলাকায় ওই নারী ও শিশুটি ভেসে আসছিল। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে। ওই নারী মারা গেলেও তার কোলে থাকা শিশুটি ছিল জীবিত।
স্থানীয়রা জানায়, তানজিলা তার শিশুপুত্রসহ নৌকাযোগে বৈরাগীরচর এলাকা থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। নদীতে তাদের নৌকাটি ডুবে গেলে তারা পানিতে ভেসে যায়। নৌকায় আরো ৫-৬ জন পুরুষ যাত্রী ছিল বলে তাদের ধারণা।
পরে ডুবে যাওয়া নৌকার যাত্রীদের খোঁজে রাত ৯টার দিকে ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম পদ্মায় অভিযান শুরু করে। অবশ্য আর কাউকে উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি।
ফিলিপনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক কবিরাজ বলেন, শিশুটি সুস্থ রয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌফিকুর রহমান বলেন, ওই নারী কিভাবে নদীতে ডুবে মারা গেছেন সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে নৌকা থেকে পানিতে পড়ে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।-যুগান্তর
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস