কুষ্টিয়া থেকে : জুয়েলকে ঘিরে নারী-পুরুষ-শিশুসহ আরও বেশ কিছু মানুষের জটলা। সবার সামনে জুয়েলের শরীরে সপাসপ ডালের আঘাত পড়ে। তার আর্তচিৎকার চারদিকে ছড়িয়ে যায়। কিন্তু তাকে রক্ষা করতে কেউ এগিয়ে আসে না। শিশুটিকে মারধর করতে করতে যুবক বলতে থাকেন, ‘সত্যি করি ক, মোবাইল কনে?’ শিশুটি যতবার ‘জানি না’ বলে, ততবার তার শরীরে জোরে জোরে ডালের বাড়ি পড়ে।
জুয়েলকে মারধরের ঘটনায় গতকাল রাতেই কুমারখালী থানায় মামলা হয়। এই মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। তাঁরা হলেন ছেঁউড়িয়া এলাকার তানজেল (৩৫) ও তাঁর শাশুড়ি রোকেয়া খাতুন (৪৮)।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে জুয়েল বলে, গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে তাকে এক যুবক দোকান থেকে ধরে তানজেলের বাড়ির সামনে নিয়ে যান। তার দুই হাত দড়ি দিয়ে বেঁধে আমগাছের সঙ্গে টানানো হয়। মোবাইল ফোন সেট চুরির অভিযোগ তুলে তানজেল আমগাছের ডাল ভেঙে তাকে মারতে থাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল মান্নান বলেন, তিনি ঠেকাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে বাধা দেন তানজেল। চোরের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ তুলে ধাক্কা মারেন। খবর পেয়ে বিকেলে ঘটনাস্থলে যান জুয়েলের ভাই রব্বেল। তিনি জুয়েলকে উদ্ধার করে সন্ধ্যার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেন।
তাকে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়েছে। জুয়েলকে মারধরের ভিডিও সন্ধ্যার পর সাংবাদিকদের হাতে আসে। বিষয়টি জানতে পেরে রাতে কুমারখালী থানার পুলিশ তানজেল ও তাঁর শাশুড়িকে আটক করে থানায় নেয়।
এমটিনিউজ২৪/এম.জে