কুষ্টিয়া: প্রেম মানে না কোনও রাজনীতিও। পরকীয়া প্রেমের পরিণতিতে বিয়ের দাবিতে যুবলীগ নেতার সাবেক স্ত্রী ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন।
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সায়েম হোসেন সুজনের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে যুবলীগ নেতার সাবেক স্ত্রী এক সন্তানের জননী জুয়েনা হোসেন লিমা। উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আবু ওবাইদা সাফির সঙ্গে প্রায় ১২ বছর আগে ঢাকার কেরানীগঞ্জের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে লিমার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে লাব্বিব মাহমুদ লিপু (১০) নামে একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে।
তবে বিয়ের দাবিতে লিমা অবস্থান নিতে আসছেন, এমন খবর সুজনের পরিবারের সদস্যরা আগে থেকে পেয়ে তালা দিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান।
বুধবার সন্ধ্যায় খোকসা উপজেলা শহরের চুনিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, গত দেড় বছর আগে যুবলীগ নেতা সাফি জেলে থাকাবস্থায় তার স্ত্রী লিমার সঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সায়েম হোসেন সুজনের পরকীয়ার সম্পর্ক হয়। সম্প্রতি তাদের দুজনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি এলাকাবাসীর মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে পড়ে। নিজ দলের নেতার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কটি জানাজানি হলে গত জানুয়ারি মাসে আবু ওবাইদা সাফি তার স্ত্রী লিমাকে তালাক দেন। এর পর লিমা ঢাকার কেরানীগঞ্জে তার বাবার বাড়িতে চলে যান।
সংসার ভাঙার পর সুজনকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন লিমা। কিন্তু সুজন বিয়ে না করে নানা তালবাহানা করেন। গত সপ্তাহে সুজন বিয়ে করতে পারবেন না বলে লিমাকে জানিয়ে দেন। কোনও উপায়ন্তর না পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় লিমা চুনিয়াপাড়ায় সুজনের বাড়িতে চলে আসেন। কিন্তু সুজনের পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে তালা দিয়ে চলে যান।
পরে তালা ভেঙে ঘরের ভেতর প্রবেশ করেন লিমা। বর্তমানে সুজনের বাড়িতে লিমা একাই অবস্থান করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
জুয়েনা হোসেন লিমা সাংবাদিকদের জানান, সুজনের সঙ্গে দুই বছর ধরে তার সম্পর্ক চলে আসছে। এই সম্পর্কের কারণেই আগের সংসার ভেঙে গেছে। এখন সুজন বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই সুজনের বাড়িতে এই অবস্থায় আসতে হয়েছে। তবে সুজন যতক্ষণ তাকে বিয়ে না করছে ততক্ষণ তিনি এ বাড়ি ছেড়ে যাবেন না বলে জানিয়েছেন।
লিমার সাবেক স্বামী যুবলীগ নেতা আবু ওবাইদা সাফি জানান, দেড় বছর আগে আমি জেলে থাকার সুযোগ নিয়ে সুজন আমার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিছু দিন আগে ওদের সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হলে, আমি সুজনের হাত ধরে অনেক অনুরোধ করেছি। ওকে বারবার বলেছি, আমাদের সুখের সংসার ভাঙার দরকার নেই। কিন্তু দুজনই আমার কথা শুনেনি। আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে অনেক ক্ষতি হয়েছে। ওরা যা খুশি করুক, আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই।
সায়েম হোসেন সুজনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও অধিকাংশ সময় তা বন্ধ পাওয়া গেছে, মাঝে মাঝে সংযোগ পাওয়া গেলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে ও এলাকাবাসীদের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস