কুষ্টিয়া: সকালে ঈদের নামাজ একসঙ্গে আদায় করে ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল। ঈদ উপলক্ষে কেনা কাটাও করেছে। কিন্তু দেখেন আমরা সবাই নামাজ আদায় করলাম, কিন্তু হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে আছে ওর নিথর দেহ। ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে এভাবেই বলছিলেন বড় ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে নিহত আদনান আশিকের (২১) বন্ধুরা।
আশিক কুষ্টিয়া শহরের চাউলের বর্ডার এলাকার উদীচী বোমা হামলায় নিহত মৃত শাহ্ আলমের ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
স্থানীয়রা জানান, সকালে ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের জন্য ঈদগাঁ মাঠে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো আশিক। এসময় তার বড় ভাই আকাশ ঘরের ভেতর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আশিক নিজেই বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে। পরিবারের লোকজন আশিককে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে ছেলের শোকে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন আশিকের মা। বার বার ছেলের স্মৃতিস্মরণ করে বিলাপ করছেন।
উদীচী বোমা হামলায় স্বামীকে হারিয়ে ছেলেই ছিল তার বেঁচে থাকার অবলম্বন। অনেক স্বপ্ন ছিল তাকে নিয়ে। সেটাও আজ থেকে দুঃস্বপ্ন হয়ে গেল তার কাছে। পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।