কুষ্টিয়া: আশা, তুমি ভালো থেকো, আমার একমাত্র সন্তানকে দেখে রেখো। আমি বুঝি আর বাঁচতে পারব না। সবাই ভালো থেকো। ইফতিয়ার হোসেন মিঠুর এ ফোনটিই যে শেষ ফোন হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি স্ত্রী আশা খাতুন।
বনানী এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের সময় মিঠু ১১ তলায় পেশাগত কাজে ব্যস্ত ছিলেন। আগুন লাগার পর ফ্লোরের সবাই যখন দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করছিলেন তখন আশাকে ফোন দেন।
অসচ্ছল পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে ৩ বছর আগে এফআর টাওয়ারে একটি গ্লোবাল কোম্পানিতে অ্যাকাউন্টিং অফিসার পদে চাকরি নিয়েছিলেন মিঠু। কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ পাস করেছিলেন তিনি।
শুক্রবার বেলা ১১টায় ইফতিয়ার মিঠুর মরদেহ তার নিজ বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চরবানিয়াপাড়া গ্রামে এসে পৌঁছালে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন বাবা-মা, স্ত্রী। স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে ওঠে এলাকার পরিবেশ।
আড়াই বছরের একমাত্র সন্তান মিফতাহুল হোসেন মুগ্ধর সামনে বাবার লাশ অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামানো হলেও তার বোঝার কী সাধ্য, বাবা চিরকালের জন্য বিদায় নিয়েছেন। ছেলে হারানোর শোকে আহাজারি করতে করতে বাকরুদ্ধ হয়ে যাচ্ছিলেন মা। স্বামীর মৃত্যুতে মূর্ছা যাচ্ছিলেন স্ত্রী আশা খাতুন।