কুষ্টিয়া থেকে : কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নার্স বিলকিস হ'ত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বী'কারোক্তিমূলক জ'বানবন্দি দিয়েছে তারই এক সহকর্মী। পর'কীয়ার জের ধরে এ হ'ত্যাকা'ণ্ড ঘটেছে।
বুধবার দুপুরে আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে সহকর্মী পর'কীয়া প্রেমিক জসিম জানান, বিলকিসের সঙ্গে তার এবং উজ্জ্বল নামে আরও এক সহকর্মীর গভীর সর্ম্পক ছিল। তারা তিনজনই একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের বাঁধবাজার কাঞ্চনপুর বাঁশের সাঁকো সংলগ্ন এলাকা থেকে বিলকিসের লা'শ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিলকিস শহরের হাসপাতাল মোড় এলাকায় ডক্টরস ল্যাব অ্যান্ড প্রাইভেট হাসপাতালের নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। হ'ত্যার ঘটনায় তার স্বামী রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় হ'ত্যা মামলা করেছেন।
পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পুলিশ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কবুরহাট এলাকা থেকে জসীম উদ্দিন (৩২) নামে একজনকে গ্রেফতার করে। বিলকিস যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন জসীমও সেখানে চাকরি করেন।
কুমারখালী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিলকিসের সঙ্গে জসীমসহ উজ্জ্বল নামে আরও একজনের গভীর সর্ম্পক ছিল। তারা তিনজনই একই প্রতিষ্ঠানের। এই সর্ম্পক নিয়ে বিলকিসের সঙ্গে জসীমের বি'রো'ধ দেখা দেয়। তারই প্রেক্ষিতে জসীম বিলকিসকে নিয়ে জগতি ক্যানেলপাড়ে বেড়াতে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, সেখানে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে বিলকিসকে আ'ঘা'ত করে জসীম। মারা গেলে তাকে বস্তাবন্দি করে ক্যানেলের পানিতে ভাসিয়ে দেয়।
ওসি আরও বলেন, বুধবার দুপুরে জসীমকে কুষ্টিয়া আদালতে নেয়া হয়। আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক হ'ত্যার স্বী'কারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় জসীম। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।