কুষ্টিয়া থেকে : প্রেম করে বিয়ে কিন্তু মেহেদির রং শুকানোর আগেই আ'ত্মহ'ত্যা করেছে এক কলেজছাত্রী নববধূ। ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলায়।
বিয়ের তিন দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার হিলালপুর গ্রামে বাবার বাড়িতে ফাঁ'স দিয়ে আ'ত্মহ'ত্যা করে নববধূ কলেজ ছাত্রী পাপিয়া খাতুন।
নিহ'ত পাপিয়া খোকসা সরকারী ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্মান তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। ঘটনার পর প্রেমিক স্বামী ও তার পরিবারের লোকেরা আ'ত্মগো'পন করেছে।
নিহ'তের পরিবারের লোকদের দাবি, পাপিয়ার সঙ্গে একই কলেজের শামীম রেজার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে ছাত্রীর বাবার বাড়ি উপজেলার হিলালপুর গ্রামে তাদের বিয়ে হয়। তাদের দুজনের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি ওই ছাত্রের পরিবার।
বৃহস্পতিবার বিকালে নববধূকে তার বাবা বাড়ি রেখে শামীম নিজের বাড়ি ফিরে যায়। গভীর রাত পর্যন্ত সে ফিরে না আসায় দুজনের (নববধূ ও তার স্বামী) মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা কা'টাকা'টি হয়।
এক পর্যায়ে রাতেই নববধূ কলেজ ছাত্রী তার নিজের ঘরে ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গ'লায় ফাঁ'স দিয়ে আ'ত্মহ'ত্যা করেন। সকালে পরিবারের লোকেরা ডা'কাডা'কি করে। পাপিয়ার সাড়া না পেয়ে তারা দরজা ভে'ঙ্গে ঘরে ঢুকে পাপিয়ার লা'শ ঝু'লতে দেখে।
পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ লা'শ উ'দ্ধা'র করে। নিহ'ত নববধূর বাবা ওমর আলী জানায়, মেয়েকে রেখে জামাই শামীম রেজা পা'লিয়ে বাড়ি চলে যাওয়ায় পাপিয়া আ'ত্মহ'ত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে শামীমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। তার বাবা রাজ্জাক বিশ্বাসের বাড়ি উপজেলার মির্জাপুরের গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
শামীমের বাড়ির দরজায় তালা লাগিয়ে সবাই আ'ত্মগো'পন করেছে বলে জানান প্রতিবেশীরা। খোকসা থানার এসআই বুলবুল আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে একটি অ'পমৃ'ত্যু মামলা হয়েছে।