 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
নিউজ ডেস্ক : নাতিকে হারানো আবরারের দাদার বুকফাটা কান্নার দৃশ্য নিয়ে তোল'পাড়। ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের নি'র্মম নি'র্যাতনে অকালে প্রা'ণ হারিয়েছেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। এই মৃ'ত্যুর ঘটনায় গোটা দেশে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
কুষ্টিয়ায় আবরার ফাহাদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় আবরারের দাদা আবদুল গফুর বিশ্বাস নাতির কথা বলতে বলতে আ'র্তনাদ করছেন। বলছেন, আবরার কারো কোনো ক্ষতি করতে পারে না। আমার বড়ই আদরের নাতি ছিল আবরার। আবরারের সহপাঠীদের পেয়ে কা'ন্নায় ভেঙে পড়েন এই বৃদ্ধ।
বাড়িতে সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে আবদুল গফুর বিশ্বাস জানতে চান- কী হয়েছে? কিন্তু পরিবারের সদস্যদের অনুরোধ এবং শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় সত্য আড়াল করে তাকে জানানো হয়, আবরার সড়ক দু'র্ঘটনায় আ'হত হয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন এবং এখন ভালো আছেন।
আবদুল গফুর বিশ্বাসের পাঁচ ছেলে চাকরির সুবাদে বাড়ির বাইরে থাকেন। একসঙ্গে এত লোক কখনও তাদের বাড়িতে আসে না। অনেকে কা'ন্নাকা'টি করছেন, অনেকেই ভারাক্রান্ত। সব মিলিয়ে অজানা শঙ্কা আবদুল গফুরের মনে। যখন জানতে পারেন তার প্রিয় নাতি নেই তখন আর ঠিক থাকতে পারেন না। বারবার বিলাপ করতে থাকেন।
ছুটিতে বাড়িতে এলেই গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসত আবরার। খোঁজখবরও নিত। মেধাবী নাতিকে নিয়ে গর্বিত এ বৃদ্ধ জীবনের শেষলগ্নে এসেও স্বপ্ন দেখেন তার নাতি অনেক বড় ইঞ্জিনিয়ার হবে। পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করবে। যদিও তার এবং পরিবারের একসময় চাওয়া ছিল আবরার ডাক্তার হবে।
কোনো ধরনের প্রস্তুতি ছাড়া মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণও হয়েছিলেন আবরার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় দ্বিতীয় হয়েছিলেন। কিন্তু নিজের ইচ্ছাতেই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হন। অত্যন্ত মেধাবী আবরার ফাহাদের মৃ’ত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তার পরিবার আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে থেমে থেমে ৫ ঘণ্টা অমা'নুষিক নি’র্যাতন চালায় ঘাতকরা। বুয়েট ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহার শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে রাত ৮টার পর থেকেই শুরু হয় নি'র্যাতনের পালা।