কুষ্টিয়া: অমিত সাহাকে আ'টকের খবরে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন ছাত্রলীগের নির্ম'ম নির্যা'তনে নিহ'ত বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ।
বৃহস্পতিবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছেলের জন্য আজ সারা বাংলা কাঁদছে, এ জন্য আমি কৃতজ্ঞ।
বুয়েটের শেরেবাংলা হলের যে ২০১১ নম্বর কক্ষে গত রোববার রাতে কয়েক ঘণ্টা ধরে নির্যা'তন চালিয়ে তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে হ'ত্যা করা হয়, সেই কক্ষেরই আবাসিক ছাত্র অমিত।
আবরারের বাবা বলেন, অমিত সাহা আট'কের খবরে তিনি স্বস্তি পেয়েছেন। এ জন্য পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ।
বুধবার বুয়েটের উপাচার্য সাইফুল ইসলাম আবরারের মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারতেন বলে মন্তব্য করেন বরকত উল্লাহ।
তিনি বলেন, আমি চেয়েছিলাম ভিসি আবরারের মায়ের সঙ্গে দেখা করুক। তাকে নিয়ে আমি সামনে পথ পরিষ্কার করছিলাম। কিন্তু এলাকার মানুষের বিক্ষো'ভের মুখে প্রশাসন ভিসিকে নিয়ে দ্রুত গাড়িতে করে চলে যান।
‘ভিসি পারতেন আমার পেছনে এসে আবরারের মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। সেটি তিনি করেননি। তিনি পুলিশের কথামতো চলে গেলেন।’তিনি আরও বলেন, শুনলাম, আমার ছোট ছেলেকে (আবরার ফায়াজ) নাকি কারা হু'মকি দিয়েছে। আমরা সবাই এখন গ্রামের বাড়িতেই আছি। এলাকার পরিস্থিতিও আপাতত ভালো।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র অমিত সাহা বুয়েট ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক।
আলোচিত এ হ'ত্যাকা'ণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন হিসেবে তার নাম এসেছিল। কিন্তু মামলায় তার নাম না থাকা নিয়ে গত দুদিন ধরেই নানা আলোচনা চলছিল।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে অমিতকে গ্রেফতার করা হয়।