কুষ্টিয়া থেকে : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া মেধাবী শিক্ষার্থী সুবর্ণা খাতুনের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাত।
নিজ কার্যালয়ে এসপি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সুবর্ণার হাতে ২০ হাজার টাকা তুলে দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ঢাবিতে চান্স পেয়েও টাকার অভাবে ভর্তি অনিশ্চিত সুবর্ণার’ সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি নজরে আসে পুলিশ সুপারের। এরপর তাকে ডেকে পাঠান পুলিশ সুপার।
পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, অর্থের অভাবে এরকম সুবর্ণাদের মতো অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীরা যেন ঝরে বা পড়ে। তাই সুবর্ণার স্বপ্ন পুরন করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে পারে তাই আমি তার পাশে দাঁড়াতে চেয়েছি মাত্র।
তিনি বলেন, চান্স পেয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে না, এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই সুবর্ণাকে সহযোগিতা করার জন্য তাকে ডেকে পাঠাই। সুবর্ণা যাতে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারে, তার সব ব্যবস্থা করবেন বলেও ঘোষণা দেন এসপি।
পড়ালেখা করে মানুষের মত মানুষ হতে হবে উল্লেখ করে সুবর্ণাকে তিনি বলেন, ‘তোমার যে কোনো প্রয়োজনে আমি তোমার পাশে আছি।’ এসময় সুবর্ণার মা আরজিনা বেগম, কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘গ’ ইউনিটের মেধা তালিকায় ৯২৭ নম্বরে এসেছে অদম্য মেধাবি শিক্ষার্থী সুবর্ণা খাতুনের নাম। মেধা তালিকায় স্থান পেয়েও তার ভর্তিতে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। দিনমজুর মায়ের এ মেধাবী সন্তানের ভর্তির টাকা জোগাড় হয়নি।
শুধু ভর্তি নয়, কিভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করাবে তার পরিবার এটা নিয়েও চিন্তিত। অশ্রু ভেজা চোখে কথাগুলো বলছিলেন সুবর্ণার মা আরজিনা বেগম। সুবর্ণার মা আরজিনা খাতুন একটি তুলা মিলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।
তিনি জানান, মেয়ে সুবর্ণা খাতুনের জন্মের পর তার বাবা মারা যায়। অন্যের হোটেলে এবং তুলা মিলের শ্রমিক হিসেবে কাজ করে মেয়েকে খুব কষ্টে লালন-পালন করেছেন।