কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া আবাসন এলাকায় শনিবার মধ্যরাতে নির্জন ঘরে মা-বাবার লাশের পাশে কাঁদছিল তিন বছরের ছেলে। সেই কান্নার শব্দ পেয়ে শিশুটির দাদা পাশের ঘর থেকে গিয়ে দেখেন ছেলে ও ছেলের বউয়ের লাশ।
এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে রাত দেড়টার দিকে লাশ দুটি উদ্ধার করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি রোববার সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
লাশ উদ্ধার হওয়া দম্পতি হলেন উপজেলার কয়া আবাসন এলাকার জামাল শেখের ছেলে সুমন শেখ (২৫) ও তার স্ত্রী সোনিয়া খাতুন সনি (২০)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে তারা আÍহত্যা করেছেন।
আবাসনের সভাপতি আজিবর রহমান বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় সুমনের বাবা তাকে ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করেন। তিনি দোকান বন্ধ করে সুমনের বাড়িতে গিয়ে দেখেন সুমনের স্ত্রী হাতের আঙুলে কারেন্টের তার পেঁচানো অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে। সুমনের নিথর দেহ বারান্দায় শুইয়ে রাখা হয়েছে। এ সময় সুমনকে সেবা শুশ্রুষা করে কোনো লাভ হয়নি। কিছু সময়ের মধ্যে গ্রাম্য চিকিৎসক এসে দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে কুমারখালী থানায় খবর দিলে সকালে পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যায়।
সুমনের বাবা জামাল শেখ জানান, তিনি তার ছেলের ঘরের ভেতর থেকে তাদের বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনে বাইরে থেকে দরজা করাঘাত করে খুলতে না পারলে স্থানীয়দের সাথে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করা হয়।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, আপাতদৃষ্টিতে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে লাশের ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।