বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:২১:১৫

আ. লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, ব্যাপক ভাঙচুর

আ. লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, ব্যাপক ভাঙচুর

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কৃষি সেচ পাম্প নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৯ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের উত্তর কয়া গ্রামে স্থানীয় শেখ গ্রুপের সঙ্গে মোল্লা গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মোল্লা গ্রুপের লোকজন আওয়ামী লীগের সমর্থক আর শেখ গ্রুপ বিএনপির বলে জানা গেছে।

শেখ গ্রুপের আহতরা হলেন: একই এলাকার মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে হামিদুল শেখ (৫০), তার ছেলে নাঈম শেখ (২২), মৃত ইছাহকের ছেলে ইব্রাহিম শেখ (৬৫), আসলাম শেখের ছেলে ইয়ামিন শেখ (১৯) ও ইউনুসের ছেলে আলম শেখ (২০)।

মোল্লা গ্রুপের আহতরা হলেন- মৃত নওশের মোল্লার ছেলে ছমসের আলী মোল্লা (৫৫), রবিউল আলম মোল্লার ছেলে রুহুল আলম (৬০) ও শামসুল আলম (৫৮) এবং নান্নু মোল্লা (৫০)। তারা কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ছয় বছর ধরে উত্তর কয়া গ্রামের রবিউল আলম মোল্লা তার কৃষি কাজের সেচ পাম্পটি হামিদুল শেখের কাছে ইজারা দিয়েছেন। হামিদুল দুই বছর পরপর বৈশাখ মাসে প্রায় ৩৬ হাজার টাকা দেন রবিউলকে। তবে এ বছর থেকে রবিউল পাম্পটি ইজারা দেবেন না বলে তালা লাগিয়ে দেন।

তারপরও বুধবার সকালে হামিদুল শেখ তার লোকজন নিয়ে তালা খুলতে গেলে দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের পর মোল্লা গ্রুপের পুরুষরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় তাদের অন্তত চারটি বাড়িতে ভাঙচুর করেন প্রতিপক্ষরা।

এ বিষয়ে পাম্পের ইজারাদার হামিদুল শেখ বলেন, ‘দুই বছর পরপর ৩৬ হাজার টাকা ইজারা দিই রবিউলকে। এখনও দুই মাস মেয়াদ আছে। তবুও তারা তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। আবার আমাদেরই মাথা ফাটিয়েছেন। আমি বিচার চাই। থানায় মামলা করবো।

হামিদুল শেখের ভাই কয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ইমরান শেখ বলেন, ‘আমার ভাই ও ভাতিজা নাঈম সকালে বোরিং মেশিন চালাতে গেলে আওয়ামী লীগ নেতা শাহিন মোল্লা, রেজাউল মোল্লাসহ তাদের লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের পাঁচজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ বিষয়ে পাম্প মালিক রবিউল মোল্লার স্ত্রী জাহানারা খাতুন বলেন, ‘পহেলা বৈশাখেই মেয়াদ শেষ হয়েছে ইজারার। ছেলে ও নাতিরা বড় হয়েছে। এখন নিজেরাই পাম্প চালাবো। কিন্তু হামিদুলরা জোর করেই পাম্প নিতে না পেরে আমাদের লোকজনকে মারধর করেছেন; কুপিয়েছেন। বাড়িতে ভাঙচুর করেছেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, সেচ পাম্পের ইজারা বা মালিকানা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে বেশকিছু লোকজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কয়েকটি বাড়িতে হালকা ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে