লালমনিরহাট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুদানের টাকায় একটি ছাগল কিনে স্বাবলম্বী হয়ে প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘায়ু কামনা করে পশু কোরবানি করেছেন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা পাড়ের হতদরিদ্র কৃষক মোজাম্মেল হক আকন্দ।
শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করে স্থানীয় গড্ডিমারী তালেব মোড় জামে মসজিদে একটি খাসি কোরবানি করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাতীবান্ধার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন, গড্ডিমারী ইউনিয়নের যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
মোজাম্মেল হক আকন্দ হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের নিজ গড্ডিমারী গ্রামের মৃত কেরামত আলী আকন্দ ছেলে।
২০১৫ সালে ব্যাংকের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য একটি পশু কোরবানি দিবেন বলে নিয়ত করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করে ১১ জন নারী ও তিনি নিজেও কোরআন খতম দিয়েছেন।
২০১৫ সালে উপজেলায় তিস্তা নদীর গর্ভে জায়গা জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন মোজাম্মেল হক আকন্দ। কোনো উপায় না পেয়ে সাহায্যের আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ হাজার টাকা অনুদান দেন তাকে। অনুদানের ১৭ হাজার টাকায় ঘর-বাড়ি মেরামতের কাজে লাগান মোজাম্মেল হক আকন্দ। বাকি ৩ হাজার টাকা দিয়ে একটি ছাগল কিনেন। পরবর্তীতে একটি ছাগল লালন পালন করে আজ ৬টি ছাগল হয়েছে এবং সেইগুলো থেকে আবার ৪টি হয়েছে। বর্তমানে মোট ৯টি ছাগল তার। একটি ছাগলেই ভাগ্য ফেরায় মোজাম্মেল হক আকন্দের। ছাগল বিক্রয় করে একটি গরুও কেনেন তিনি। এরপর থেকে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেন তিনি।
মোজাম্মেল হক আকন্দ স্ত্রী জামেলা বেগম বলে, প্রধানমন্ত্রী ওই সময় টাকাটা না দিলে আজ আমরা পথে বসতাম। সেই টাকায় একটি ছাগল কিনে লালন পালন করছি। আজ অনেক ছাগল আমাদের। তাই প্রধানমন্ত্রীর নামে একটি ছাগল কোরবানি দেব বলে অনেক দিন থেকে খাসিটিকে লালন-পালন করছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের টাকায় আমি আজ স্বাবলম্বী। আমার কষ্টের সময় কেউ ছিল না, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন। তাই তার দীর্ঘায়ু কামনা করে জুমার নামাজের পর খাসি কোরবানি করেছি। আল্লাহ যেন আমার কোরবানি কবুল করেন।