সোমবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৬, ০৭:৫৮:৫৬

কান্নায় ভেঙে পড়লেন কৃষকরা, হে আল্লাহ, বৃষ্টি দাও

 কান্নায় ভেঙে পড়লেন কৃষকরা, হে আল্লাহ, বৃষ্টি দাও

লালমনিরহাট : লালমনিরহাটে খরায় পুড়ছে শত শত বিঘা জমির বাদাম গাছ।  তরতাজা গাছগুলো মরে যেতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন কৃষকরা।  তাই একটু বৃষ্টির জন্য সোমবার সকালে জেলার বিভিন্ন জায়গায় নামাজ আদায়সহ আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন।

অনাবৃষ্টির কারণে জেলাজুড়ে বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। খরায় খাল-বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারণে সেচ সংকটে পড়েছে কৃষকরা।

এতে বোরো ধানের আবাদ চরম বিপর্যয়ে পড়েছে।  ধানি জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।  এরই মধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে শত শত একর ফসলি জমি।  জেলায় সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছে বাদাম চাষিরা। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পানির জন্য হাহাকার করছে মানুষ।

শিয়াল খোওয়া গ্রামের কৃষকরা জানান, তারা ১২ বিঘা জমিতে বাদাম আবাদ করেছেন।  এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে জমিতে পানি দিতে হয়।

তারা জানান, ডিজেলের দাম বেশি হওয়ায় সকালে বাদামের জমিতে পানি দিতে না দিতেই বিকেলে জমি আবার জলন্ত বালুতে পরিণত হচ্ছে।  এতে তাদের অর্ধেক জমির বাদাম ঘরে আসবে না বলে জানান।

কৃষি বিভাগ জানায়, জেলায় এবার ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে।  তবে খরার কারণে ৩ হাজার হেক্টর জমির বাদাম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

বিদ্যুতের দাবিতে সোমবার কয়েকশ’ কৃষক কালিগঞ্জ পিডিবি অফিস ঘেরাও করে।  কৃষকরা জানান, বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিং আর অনিশ্চিত বিদ্যুৎ সরবারহের কারণে বোরো আবাদ চরম হুমকির মুখে পড়েছে।  পানির অভাবে জেলার শত হেক্টর ধানের ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।

এদিকে সোমবার সকালে জেলার ১৩টি পয়েন্টে বৃষ্টির জন্য শত শত কৃষক ফসল রক্ষার জন্য বিশেষ প্রার্থনা করেন।
২৫ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে