লালমনিরহাট : কলেজ জীবনে দু’জন দু’জনের প্রেমে পড়েন। গভীর সম্পর্ক হয় তাদের মধ্যে। দীর্ঘ দিন গড়ায় তরুণ-তরুণীর প্রেম। অতপর: বিয়ে। নাহিদনিগার মেঘনা রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসনের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
ভালোবেসে প্রেমিকা বিয়ে করার মাশূল দিচ্ছেন সে। স্বামীর নির্মম নির্যাতনে পা ভেঙেছে তার। রংপুরের হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচদিন ধরে কাঁতরাচ্ছেন মেঘণা। ভালোবেসে বিয়ে করার নির্মম মাশুল দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী মেঘণা, পিটিয়ে পা ভাঙল তার স্বামী।
কাঁন্না জড়িত কন্ঠে মেঘণা বলেন, সুজন আমার জীবন শেষ করে দিয়েছে। ও এক সময় আমার জন্য পাগল ছিলো। বিয়ের কয়েকদিন যেতে না যেতেই যৌতূকের জন্য চাপ দেয়। নির্যাতন করতে থাকে নানাভাবে।
যৌতূক এনে না দেয়ায় এখন পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছেন। মেঘণা বলেন, আমার রাগ হচ্ছে ভালোবাসার প্রতি। সুজনের প্রেমে পড়ে আমি ভুল করেছি। আমি বিয়ে না করলে ও আত্ম হত্যা করবে বলে চাপ দেয়। পরে সবার অজান্তে ২০১৩ সালে জানুয়ারিতে পাঁচ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে রংপুর নোটারি পাবলিক ক্লাবে গিয়ে বিয়ে করেন তারা।
এমন বিয়ে তার জন্য কাল নিয়ে এসেছে বলে জানান লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের মতিয়ার রহমানের মেয়ে নাহিদনিগার মেঘনা।
৯ জুলাই ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর